আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Oct 20, 2020

আট মাস বাংলাদেশের জেলে মালদার কাদির, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

বিচারের মুক্তি পেয়েও প্রায় আট মাস ধরে বাংলাদেশের জেলে বন্দি হয়ে রয়েছেন মালদার এক বাসিন্দা৷ এই ঘটনার পরেই প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবীদের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন৷

বৈষ্ণবনগরের চকমাইলপুরের শ্মশানী গ্রামের বাসিন্দা কাদির শেখ (৭০)৷ শ্মশানী গ্রামের ওপর দিয়ে গিয়েছে সীমান্তের কাঁটাতার৷ সেই কাঁটাতারের ওপারে কাদির সহ আরও কয়েকটি পরিবারের বসবাস৷ জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বাংলাদেশের জওয়ানরা বাড়ি থেকে কাদির শেখ ও তাঁর স্ত্রী আলেকনুর বিবিকে গ্রেফতার করে৷ জওয়ানদের অভিযোগ, কাদির শেখের হেপাজত থেকে পিস্তল, কার্তুজ সহ ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে চাঁপাই নবাবগঞ্জ আদালতে মামলা শুরু হয়৷ আদালতের রায় ঘোষণার পরেই আলেকনুর বিবিকে ভারতে পাঠানো হলেও এখনও মুক্ত হননি কাদির শেখ৷

আলেকনুর বিবি জানান, ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের গ্রেফতার করে৷ ১৯ মাস বাংলাদেশের জেলে থাকার পর বিচারকের রায়ে তিনি ছাড়া পান৷ কিন্তু তাঁর স্বামী আদালত থেকে খালাস হওয়ার পরও প্রায় আট মাস ধরে সেদেশের জেলে রয়েছেন৷ স্বামীকে ঘরে ফেরাতে তিনি ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন জানিয়েছেন৷

মানবাধিকার কর্মী ও মালদা জেলা আদালতের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় দাস জানান, সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে থাকা বাড়ি থেকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থা এই দম্পতিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়৷ দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা চলার পরে আলেকনুর বিবি জামিন পেয়ে এদেশে চলে আসেন৷ কিন্তু কাদির শেখ এখনও বাংলাদেশে বন্দি হয়ে রয়েছেন৷ মালদার জেলাশাসক, পুলিশসুপার, দুই দেশের হাইকমিশন, রাজ্য হোম ফরেনার্স বিভাগে চিঠি দিয়ে কাদির শেখকে দেশে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানানো হলেও এখনও তাঁকে দেশে ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের করে কাদির শেখকে বন্দি করে রেখেছে৷

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন