আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Apr 29, 2020

ধান পাকলেও, কাটার মতো পর্যাপ্ত কৃষক নেই

Updated: Aug 11, 2020

কোভিড মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়৷ এইসময় চাষের ক্ষেত্রে শ্রমিক নিয়োগ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ তার ওপর অসময়ে দফায় দফায় বৃষ্টি৷ এই পরিস্থিতিতে চাষের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাষিদের যন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি দফতর৷

প্রতিবছর জেলায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়৷ এবছরও প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে৷ ইতিমধ্যে সেই ধান পাকতে শুরু করেছে৷ তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই পাকা ধান কাটার ক্ষেত্রে ৷ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে যে লকডাউন চলছে তার জেরে ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না৷

তার সঙ্গে গোঁদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মত অসময়ের দফায় দফায় বৃষ্টি৷ এই পরিস্থিতিতে বেশিদিন ধান জমিতে ফেলে রাখা যাবে না৷ এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তাঁদের, বললেন জেলার চাষিরা।

এক ধান চাষি বলেন, এবছর পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়৷ ধান পাকতে শুরু করেছে৷ অথচ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে৷ লকডাউনে ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না৷ তার ওপর মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে৷ কয়েকদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে ধানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে বেশি ধান জমিতে ফেলে রাখা যাবে না৷ প্রশাসন যদি সাহায্য না করে তবে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তা কল্পনাতীত৷

এই পরিস্থিতিতে চাষিদের যান্ত্রিক সাহায্য নিতে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি দফতর৷ কৃষি দফতরের এক কর্তা বলেন, কয়েকদিন আগের শিলাবৃষ্টিতে ধান চাষের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ক্ষতি হয়েছে৷ তবুও প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা রয়েছে৷ কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটার কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ লকডাউনে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না৷ এই পরিস্থিতিতে চাষিদের ধান কাটার যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে৷ তবে যন্ত্র দিয়ে এই জেলায় প্রায় ১৫০টি ধান কাটার মেশিন রয়েছে৷ এই সংখ্যক যন্ত্র দিয়ে জেলার সমস্ত জমির ধান কাটা সম্ভব নয়৷ দফতরের পক্ষ থেকে খরিফ মরশুমে ধান কাটার জন্য হাতে চালানো একটি যন্ত্র শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছিল৷ চাষিদের এবার সেই যন্ত্র ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷


 

 
টপিকঃ #Lockdown