আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Oct 21, 2022

ফাঁড়ির ফুল-মাটি ছাড়া পুজো হয় না থানায়

দেবী প্রতিমা রয়েছে ফাঁড়িতে। দেবী পূজিত হন থানায়। ফাঁড়ি থেকে ফুল-মাটি নিয়ে আসার পরেই পূজিত হন দেবী। গত ৫০ বছর ধরে এমনই রীতি চলে আসছে চাঁচলে।

জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ শাসনকালে উত্তর মালদা এলাকার মূল থানা ছিল খরবা। সেই থানায় কর্মরত ভারতীয় পুলিশকর্মীরা থানায় শক্তির আরাধনায় কালী পুজো করতেন। সেই সময় থেকে এই পুজো চলে আসছে। চাঁচল মহকুমা তৈরির সময় ১৯৭২ সালে খরবা থানাকে ফাঁড়িতে পরিণত করে, চাঁচলে থানা নিয়ে আসা হয়। সেই সময় পুজোটিও চাঁচল থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দেবী প্রতিমাকে খরবা ফাঁড়ি থেকে সরানো যায়নি।

অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড আনন্দগোপাল দত্ত জানান, খরবা থানার যাবতীয় সামগ্রী চাঁচলে নিয়ে আসার সময় কালীমূর্তিকেও গাড়িতে করে নতুন থানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল৷ কিন্তু দেবীমূর্তিকে চাঁচলে আনা যায়নি৷ গাড়ির চাকা বসে যায়৷ মানুষের ক্ষয়ক্ষতিও হয়৷ শেষে কালীমূর্তিকে ফের খরবায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়৷ মা কালীকে আজও খরবা থেকে চাঁচলে আনা যায়নি৷ সেবছর খরবা ফাঁড়িতেই কালীপুজো হয়েছিল। পরের বছর থেকে আগে খরবা ফাঁড়িতে পুজো দিয়ে সেই ফুল আর মাটি এনে চাঁচলে পুজো দেওয়া হয়। এখনই সেই রীতিতে পূজিত হচ্ছেন দেবী। এই দেবী মা ভক্তদের কাছে জাগ্রত বলে পরিচিত। মানত পূরণ হওয়ার পর ভক্তরা পুজোয় সাহায্য করেন।

[ আরও খবরঃ গোয়াল ঘরে শেয়ালের হামলা, জখম দুই ]

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন