অর্ক চৌধুরি
Oct 14, 2020
Updated: Jan 12, 2021
আসলে গনিখানের ক্যারিশমায় ভর দিয়েই ভোট বৈতরণি পার করতে চাইছেন সোনিয়া-রাহুলরা। জ্যোতি-বুদ্ধ হোক বা মমতা জমানা, মালদার মাটি সব সময়েই কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত। আর সেই ঘাঁটির পরিচিতি বরকত গনিখান চৌধুরির নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। এই সত্যটা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি ভালোভাবেই জানেন। তবে সময়ে বদলের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গদেশের প্রাচীন রাজধানীর রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে গেছে অনেক। গনিগড়েও কাস্তেকে হাতে ধরে এগোতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। বাম বলা ভালো সিপিএমকে জোটসঙ্গী করে গতবারের ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস। ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। গেরুয়া ব্রিগেডের কাছে বৈষ্ণবনগর হাতছাড়া হওয়াটাই ছিল একমাত্র ধাক্কা। তবে জেলার বাকি ১১টি আসনেই জোটের জয়ধ্বজা উড়েছিল। অবশ্য ভোটে জিতলেও দলবদলের খেলায় সব আসন ধরে রাখতে পারেনি জোট।
গাজোল-হবিবপুর হারিয়ে এক সময়ের দাপুটে সিপিএমের ভাঁড়ার এখন শূন্য। মোথাবাড়ি-রতুয়া ছাড়া অন্য আসনগুলি অবশ্য ধরে রেখেছে কংগ্রেস। ইংরেজবাজারের নির্দল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষকে জোটের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। রতুয়া, মোথাবাড়ি, গাজোলেও দলবদলের খেলায় ঘাসফুল ফুটেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন না জিতেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্র এখন তৃণমূলের দখলে। রাজ্যের শাসকদলের শক্তি এই সময়কালে জেলায় কিছুটা বেড়েছে। ঠিক এই সময়েই মালদার টাল, দিয়াড়ায় ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় গেরুয়া ঝড়ের আভাষ মিলছে। ফলে বৈষ্ণবনগর ও হবিবপুর পেরিয়ে আরও কয়েকটি আসনে পদ্ম ফুটতে চলছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের বিশ্বাস।
[ আরও খবরঃ পুজো দেখতে জমায়েতের অনুমতি নেই, মিশনের কুমারী পুজো লাইভ সম্প্রচারে ]
এমন এক জটিল পরিস্থিতিতে মালদা সফরে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বৈষ্ণবনগর ছুটেছেন তিনি। ছুটছেন জমিটা বুঝে নিতে। জোট নিয়ে আশাবাদী সেলিমের বক্তব্য, জোট হলে তা হবে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা মুখে বললেও মালদায় আসন রফা নিয়ে যে জলঘোলা হবে, তা বেশ স্পষ্ট। ইতিমধ্যে মোথাবাড়িতে বাম-কংগ্রেস দুপক্ষই নিজেদের দাবি জমিয়ে বসেছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন