আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Jul 13, 2021

পাওনা টাকা আদায়ে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশ্য রাস্তা থেকে মহিলা ও তার দুই মেয়েকে অপহরণ। টানা ১১ দিন ঘরে আটকে রেখে যৌন ও শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ। মোটা টাকা দিয়ে অবশেষে মুক্তি পান ওই মহিলা ও তার দুই মেয়ে। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার থানার। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

নির্যাতিতা ওই মহিলার স্বামী মুম্বইয়ের থানের বাসিন্দা। তাঁর বাবার বাড়ি মালদার মোথাবাড়ির আমলিতলা এলাকায়। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী বছর দুয়েক আগে আগে তাঁর নাবালক ছেলের নামে একটি জমি কেনেন। গত বছর জুন মাসে তাঁর স্বামী প্রয়াত হন। সেই সময় পরিবারের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় মোথাবাড়ির বাসিন্দা অবিরাম মণ্ডলের থেকে তিনি বেশ কিছু টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে টাকা শোধ করার জন্য তিনি জমিটি অবিরাম মণ্ডলকে দিয়ে টাকা শোধ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ছেলের নামে জমি থাকায় আদালতের অনুমতির প্রয়োজন ছিল।

গত ১১ মে তিনি সেই কাজের জন্য মালদা শহরে আসেন। অভিযোগ, তাঁকে ও দুই মেয়েকে মালদা শহরের রথবাড়ি মোড় থেকে অপহরণ করে অবিরাম। তাঁদের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। মুক্তিপণ হিসেবে চার লক্ষ টাকা দাবি করে লাগাতার যৌন ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। ১১ দিন পর তিনি এক আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করে কোনওরকমে কিছু টাকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান। এরপর মোথাবাড়ি থানায় গেলে মোথাবাড়ি থানা, মালদা শহরে ঘটনা ঘটেছে বলে ইংরেজবাজার থানায় পাঠিয়ে দেয়। ইংরেজবাজার থানাও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করতে থাকে। এদিকে, বাকি টাকার জন্য অবিরাম ও তার দলবল লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি মালদা জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন। জেলা আদালত ইংরেজবাজার থানাকে এফআইআর করে গোটা ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

[ আরও খবরঃ সাবধান! মালদায় সাইবার প্রতরণার শিকার শিক্ষক ]

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন