আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Feb 5, 2021

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, থানার সামনেই তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপর গোষ্ঠীর সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও।

গতকাল রাতে থানার মূল গেটে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত হয়েছেন যুব তৃণমূলের দুই কর্মী কৌশিক সিংহ ও দীপক পাসোয়ান। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

কৌশিক সিংহের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের নেতৃত্বে সাহেব দাস দলবল নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাঁদের মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। যদিও যুব তৃণমূল নেতা সাহেব দাস গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছেন। সাহেবের অভিযোগ, ব্লকের যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের কোনো দলবল নেই। কর্মী শূন্য অবস্থাতেই চলছে তাঁর সভাপতিত্ব। তাই আমাদের ভয় দেখিয়ে নিজের গোষ্ঠীতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল রাতে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমানের কিছু দলবল মদ্যপ অবস্থায় ছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ যুব তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমান ওই কংগ্রেসের বিধায়ক মোস্তাক আলমের আত্মীয়। তৃণমূলে থেকে নিজেদের মধ্যে লড়াই করাচ্ছে জিয়াউর রহমান। নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্য জেনে কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে বিভাজন তৈরি করছে যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান।

[ আরও খবরঃ দশে মালদায় মমতা, সভাস্থলের খোঁজ চলছে ]

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, ওরা তো তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আর বিধায়ক মোস্তাক আলম ঘনিষ্ঠ নয়, প্রতিবেশী। এছাড়াও ঘটনার দিন তিনি এলাকায় ছিলেন না।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন