আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Nov 19, 2020

সুজাপুরে বিস্ফোরণস্থলে এলেন ফিরহাদ হাকিম, আসছে ফরেনসিক দল

সুজাপুরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ প্লাস্টিক স্ক্র্যাপ করার কারখানায় কাজ চলাকালীন হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে উঠে গোটা এলাকা। ধূলিসাৎ হয়ে যায় প্লাস্টিক কারখানাটি। এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, প্লাস্টিক স্ক্র্যাপ করার মেশিনটি কয়েক ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে। কারখানার ছাদ উড়ে যায়। এই ঘটনার পর বিকেলে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আসেন দুর্ঘটনাস্থানে।

এই বিস্ফোরণ কারণ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে ধন্দ। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। পুলিশসুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের অনুমান, মেশিনে বিস্ফোরণের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এনিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। তার জন্যে ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা মালদায় আসছেন। তাঁরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। ঘটনায় কোনো নাশকতা জড়িত আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মর্মু এই ঘটনায় এনআই-এর তদন্ত দাবী করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এখানে বিভিন্ন জায়গায় বোমা তৈরির কারখানা তৈরি হয়েছে। বোমা তৈরির সাথে যুক্ত তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ইংরেজবাজারে টোটো বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সেসময়ও গাড়ির ব্যাটারি বিস্ফোরণের কথা বলে। এই সুজাপুরে সমস্ত জিনিস তৈরি হয়। এখানে যখন এই বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন তিনি নিশ্চিত এই কারখানায় বোমা তৈরি হচ্ছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা তা স্পষ্ট করছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যত কাছাকাছি আসবে, বোমা বানানো বাড়বে। সুজাপুরের ঘটনা তারই উদাহরণ। সাংসদ আরও জানান, এই ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই বিস্ফোরণ ভয়াবহ বলেই বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই আমি ছুটে এসেছি। বিজেপি’র এই ঘটনায় এনআই-এর তদন্ত দাবী করেছেন জেনে তিনি বলেন, “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। এনআই-এর আর কি কোনো কাজ নেই। এনআই আর সিবিআইকে নিয়ে খেলা করছে বিজেপি দল। এই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি দেশের সুরক্ষার জন্য রয়েছে, রাজনৈতিক ব্যবহারের জন্য নয়।”

সুজাপুরের বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি জানিয়েছেন, সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে প্রত্যেক মৃতের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি জানানো হয়েছে। এই নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি। আপাতত জেলাশাসকের কাছে এই আবেদন রাখা হয়েছে। ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্যও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন