আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
May 16, 2020
Updated: Sep 24, 2020
চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের মানিকনগর গ্রামে বসবাস পেশায় দিনমজুর হামিদ আলি ও তাঁর পরিবারের। পরিবার বলতে স্ত্রী ও দুই মেয়ে। ছোটো মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। লকডাউনের তিনদিন আগে বাড়িতে রান্না করার সময় আগুনে ঝলসে যায় হামিদ সাহেবের ছোটো মেয়ে। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাকে। হাসপাতাল তিনদিন পর তাকে মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেয়। একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে আর্থিক অনটন। পরিবারের লোকজন মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে পারেননি অগ্নিদগ্ধ মেয়েকে। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে রেখেছেন মেয়েকে। লকডাউনের দিনে অর্থের অভাবে খাবার জোটাতে দিশেহারা বাবার কাছে দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে মেয়ের চিকিৎসা। বাধ্য হয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন হামিদ সাহেব।
এপ্রসঙ্গে ভাকরি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মোহম্মদ নূর হোসেন জানিয়েছেন, মেয়েটির অবস্থা খুবই খারাপ। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করব সাহায্য করার। পাশাপাশি, মেয়েটির জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে প্রতিবন্ধী ভাতার, পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন জানবো।
টপিকঃ #অগ্নিদগ্ধ