আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Jul 6, 2021

কালিয়াচক খুনকাণ্ডঃ অসঙ্গতি বয়ানে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন

কালিয়াচকে ছোটো ছেলের হাতে পরিবারের চার সদস্যের খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেল পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই নতুন তথ্যের সন্ধান মিলেছে। দেখা দিয়েছে নতুন প্রশ্নও।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নিজেদের বাড়ির দেওয়াল লাগানো নির্মীয়মাণ গুদামঘরে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে জলে ডুবিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে আসিফ। ভাগ্যচক্রে সঠিক সময়ে ঘুমের ওষুধের প্রভাব কেটে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তার দাদা আরিফ মোহম্মদ। ভাইয়ের হাত এড়িয়ে কোনওরকমে পালিয়ে যান তিনি। পরে মামার পরামর্শে ঘটনার চার মাস পর তিনি কালিয়াচক থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার বর্ণনা দেন। পরদিন, ১৯ জুন ওই গুদামের মেঝে খুঁড়ে চারটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহগুলি আসিফের বাবা-মা, বোন ও ঠাকুমার। পুলিশি জেরায় আসিফ একেক সময় একেক কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। যদিও পরে পুলিশের চাপে আসিফ বেশ কিছু তথ্য তদন্তকারী অফিসারদের জানায়। আসিফকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেন পুলিশকর্তারা। তবে এরপরেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিল তদন্তকারী অফিসাররা। জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আসিফের বাবা-মায়ের গলায় দাগ রয়েছে। এরপরেই নানা প্রশ্ন সামনে আসতে থাকে। তবে কি দাদার মতো বাবা-মায়েরও জ্ঞান ফিরে এসেছিল? তাদের কি গলা টিপে খুন করা হয়েছে?

পুলিশসুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের বিষয়টি পরিষ্কার। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে আসিফের খুনের বর্ণনায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। রিপোর্টে আসিফের বাবা ও মায়ের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এনিয়ে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আসিফকেও জেরা করা হবে।

[ আরও খবরঃ অনাস্থার পর দলের নির্দেশে ইস্তফা দিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি ]

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

[ আরও খবরঃ আইনজীবীর ফোন চুরি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধৃত চোর ]