আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Jan 20, 2022
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে বন্যাত্রাণের টাকা লুঠের অভিযোগ দায়ের করেন পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান। পরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ তুলে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে প্রধানের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন বিডিও। এরপরেই গা ঢাকা দেন প্রধান সোনামণিদেবী। তদন্তে উঠে আসে, বন্যাত্রাণের ৭৬ লাখ টাকা দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত রয়েছেন প্রধান। তদন্তে রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট প্রধানের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে হুলিয়া জারি ও প্রধানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রধান এখনও পলাতক থাকায় পুলিশ তাঁর বাড়ি সিল করার পাশাপাশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
অভিযোগকারী আবদুল মান্নান জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রধানের বাড়ি সিল করে ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে প্রধানকে পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ প্রধান হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, প্রশাসন পুলিশকে চাপে রেখেছে। কারণ, এই ঘটনায় শাসকদলের আরও বড়ো বড়ো নেতা জড়িয়ে রয়েছে।
[ আরও খবরঃ ভুট্টার খেত থেকে উদ্ধার ব্যাগ ভরতি বোমা, চাঞ্চল্য চাঁচলে ]
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা জানান, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আইন আইনের পথে চলবে। তাঁরা দলগতভাবে প্রশাসনকে সবরকম সাহায্য করবেন। তৃণমূল সুপ্রিমো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। তবে সঞ্জীববাবুর এমন মন্তব্যের পরেও প্রশ্ন উঠছে, প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও কেন তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। এই প্রশ্ন যেন মান্নান সাহেবের অভিযোগের গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন