আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Nov 27, 2020

হাসপাতালের পাশে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ সেনানীদের আবাসন, প্রাণের ঝুঁকি

করোনা আবহে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে চলেছেন স্বাস্থ্য সেনানীরা। এই সমস্ত প্রথম শ্রেণির যোদ্ধাদেরই আবাসনগুলি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের আবাসনগুলোর।

হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পাশেই ১১টি আবাসন রয়েছে। যার মধ্যে ছ'টি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। বাকি পাঁচটি নার্সদের। কিন্তু সংস্কারের অভাবে আবাসনগুলির এমনই জরাজীর্ণ দশা হয়েছে যে তা পরিত্যক্ত বাড়ি বলে ভুল হতে পারে। আবাসনের ভেতরে ও বাইরের দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই ছাদের চাঙর ধসে পড়ে। বেশি বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে ভেতরে জল পড়ে। প্রায় সবকটি আবাসনের এমনই ভগ্নদশা হয়েছে। হাসপাতালের ঝা চকচকে নতুন ভবন হয়েছে বছর তিনেক আগে। তখন কেন আবাসনগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তুলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। শুধু তাই নয়, বেহাল অবস্থার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে আবাসনগুলিতে। আবাসনের সীমানা প্রাচীর না থাকায় একাধিকবার চুরির ঘটনাও ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমানা প্রাচীরের দাবি জানানো হলেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

যদিও এনিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি কেউই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, দিনরাত পরিশ্রমের পরে ঘরে যে শান্তিতে বিশ্রাম নেব তারও উপায় নেই। আবাসনের ভগ্নদশা, পাঁচিল না থাকায় সারাক্ষণ আতঙ্কে সিটিয়ে থাকতে হয়।

[ আরও খবরঃ মানিকচকে ভেসেলডুবি ঘটনায় উদ্ধার আরও এক মৃতদেহ ]

হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিএমওএইচ অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আবাসনের ছবি সহ সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবাসনের জন্য অনেককেই বাইরে বাড়ি ভাড়া করে থাকছে। ফের বিষয়টি সিএমওএইচকে জানিয়েছি। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, এনিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সিওএমএইচ সাহেবের মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন