আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Aug 24, 2021

উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য? ঘুরিয়ে সমর্থন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

জন বারলার আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিকেই এবার ঘুরিয়ে সমর্থন জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তবে কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনও সংকেত পেয়েই এই দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ? নিশীথবাবু সাফ জানিয়েছেন, জনগণের দাবিকে ভবিষ্যতে সম্মান দেওয়া হতেই পারে। কারণ, গণতন্ত্রে জনগণই শেষ কথা। আজ শহিদ সম্মান যাত্রার দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করতে মালদায় এসেছিলেন নিশীথবাবু।

নিশীথ প্রামাণিক, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী

কলকাতার একটা ফ্লাইওভারে যা বাজেট ধরা হয়, গোটা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে সেই বাজেট থাকে না।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী আজ বলেন, গণতন্ত্রে জনগণই শেষ কথা বলে। তাঁর প্রশ্ন, পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি কেন উঠছে? দেখা গিয়েছে, কলকাতার একটা ফ্লাইওভারে যা বাজেট ধরা হয়, গোটা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে সেই বাজেট থাকে না। এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। উত্তরবঙ্গে যে উন্নয়ন করা উচিত ছিল, সেটা করা হয়নি। তাঁরা কখনও জনগণের আবেগের বিপক্ষে নন। জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের আবেগকে সম্মান জানাতে হবে তাঁদের। জনগণ যা চাইবে, ভবিষ্যতে হয়তো তাদের সেই রায়কেই সম্মান দেওয়া হবে। তাছাড়া যখন পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠেছিল, সেই দাবিকে আংশিক সমর্থন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেখানে জিটিএ করার কথা ভেবেছিল। এই দাবি ওঠার পিছনে অনেক কারণও রয়েছে। ২০১৪ সালে যখন কেন্দ্রীয় সরকার রায়গঞ্জে এইমস নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তখন রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করে। রায়গঞ্জ থেকে এইমস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা কিংবা সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের মানুষের মনে বড়ো ধাক্কা দিয়েছিল। কারণ, রায়গঞ্জে এইমস হলে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ তার সুবিধা পেত। এসব কারণে কেউ পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি করতেই পারেন। সেই দাবি কতটা সমর্থনযোগ্য, সেটা জনগণের রায়ে প্রমাণ পাওয়া যাবে। শুধু তিনি নন, প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিই জনগণের আবেগের সঙ্গে রয়েছেন।

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আজ যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তিনি শুধু বলেন, ভারত সরকার আফগানিস্তানের ঘটনাবলীর উপর বিশেষ নজর রেখেছে। প্রথম অবস্থায় সেখানে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করা ছাড়া অন্য কোনও বিষয় ভাবা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে অনেক ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও যারা সেদেশে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। সেদেশ থেকে প্রতিটি ভারতীয়কে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনাই এই মুহূর্তে তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। আর এই সময় সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়েও গভীর চিন্তাভাবনা চলছে।

[ আরও খবরঃ চাঁচলে মহিলা কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ রাজ্য সরকারের ]

নিশীথবাবু আজ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে এই রাজ্যে নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁরা আশাবাদী, সিবিআই তদন্তে প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে। নির্বাচনের পর এই রাজ্যে যেভাবে হিংসা হয়েছে, যেভাবে মা-বোনদের সম্মানহানি হয়েছে, বিজেপি কার্যকর্তাদের খুন করা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তা গোটা দেশের মানুষ জানে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা বাঙালিদের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। এই জেলার সাতজন বিজেপি কার্যকর্তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ন’বছরের বাচ্চাকেও ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। এই সাতটি পরিবারের পাশে তাঁরা সবসময় রয়েছেন। সেই বার্তা দিতেই আজ তাঁরা শহিদ সম্মান যাত্রা করেছেন।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন