আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Oct 21, 2020
একদিকে মালদা স্টেশন, আর দু’দিকে রথবাড়ি ও সুকান্ত মোড়৷ ত্রিবেণী সঙ্গমটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত ছিল কানির মোড় নামে৷ কোনও এক সময় এক বৃদ্ধা এই মোড়ে একটি তেলেভাজার দোকান করতেন৷ চাটাইয়ের সেই দোকানে প্রতি সন্ধেয় ভিড় জমত অনেক মানুষের৷ বৃদ্ধা এক চোখে দেখতে পেতেন না৷ তাই লোকমুখে জায়গার নাম, কানির মোড়৷ দিন বদলেছে, শহরের রূপ বদলেছে৷ বদলে গিয়েছে ওই মোড়ের ছবিটাও৷ কিন্তু নামটা এতদিন পুরোনোই থেকে গিয়েছিল৷ সম্প্রতি পুর কর্তৃপক্ষ এই মোড়ের নাম বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়৷ কারণ, আধুনিক শহরে ওই নাম নাকি বড্ড বেমানান৷
দুলালবাবু বলেন, পুরসভার ২০, ২৩, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলটি দীর্ঘদিন ধরে কানির মোড় নামে পরিচিত৷ আগে এখানে সৌন্দর্যের লেশমাত্র ছিল না৷ সন্ধের পর শহরবাসী সাধারণত খুব প্রয়োজন না পড়লে এপানে আসতেন না৷ এখন মালদা শহর অনেক আধুনিক৷ কিন্তু এই মোড়ের নামটা সেই আদ্যিকালের রয়ে গিয়েছে৷ বাচ্চারাও প্রশ্ন করে, ঝাঁ চকচকে মোড়ের নাম এমন কেন? অনেকের কাছে তার উত্তর জানা নেই৷ তাছাড়া এই শহরে ওই নাম অনেকটা বেমানানও বটে৷ তাই আমরা এই মোড়টির নাম পালটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই৷ মোড়ে একটি দুর্গামূর্তি স্থাপন করা হয়েছে৷ আগামীকাল সন্ধেয় সেই মূর্তির উন্মোচন করা হবে৷ একইসঙ্গে আগামীকাল সন্ধে থেকে এই মোড় ভবানী মোড় নামে পরিচিত হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন