আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Dec 11, 2020
কালিয়াচকের চরি অনন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েতের দৌলতটোলা গ্রামের বাসিন্দা রচনা মণ্ডল৷ স্বামী মারা গিয়েছেন প্রায় ১৮ বছর আগে। তাঁদের দুই মেয়ে। বড়ো মেয়ের বিয়ে কোনোরকমে দিয়েছেন রচনাদেবী। এদিকে ছোটো মেয়ে রিংকির বিয়ের বয়স হয়েছে। মেয়ের জন্য পাত্র পেয়েছেন। সেই পাত্র পণ ছাড়া মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু বিয়ের খরচ! অবশেষে রচনাদেবী যোগাযোগ করেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে। রচনাদেবীর ডাকা সাড়া দেন ওই যুবকরাও। নিজেরা যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তেমনই বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন আলমগির, আবদুল্লারা। অবশেষে গতকাল রাতে সমস্ত রীতি মেনে বিয়ে হয় রিংকির।
রচনাদেবী জানান, অনেক কষ্টে বড়ো মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে ছোটো মেয়ের বিয়ে দেবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে স্থানীয় কিছু যুবক মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ওদের সাহায্যেই গতকাল ছোটো মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
[ আরও খবরঃ ভুয়ো নিয়োগ চক্র জাল ছড়িয়েছে জেলায়, শুরু পুলিশের অভিযান ]
স্থানীয় এক যুবক আবদুল্লা জানান, রিংকির মা মেয়ের বিয়েতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন৷ ওনার আবেদনে সাড়া দিয়ে রিংকির বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। বিয়ের আয়োজন, পোশাক, বরযাত্রীদের আপ্যায়ন, অতিথিদের খাবার খাওয়ানো সহ যাবতীয় ব্যবস্থা তারাই করেছেন৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন