আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Aug 14, 2021

ধর্ষণের অভিযোগে গণধোলাই, অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে এসে আক্রান্ত পুলিশ

নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্তকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশও। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতভর এলাকায় টহল দিয়েছে কমব্যাট ফোর্স। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম (৫৫) ওরফে ভোলা চালের ব্যবসা করেন। রেশনের চাল নিজের গুদামে মজুত করে, সেই চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে ভোলা। কখনও রেশন ডিলারের থেকে কখনও আবার দুস্থ মানুষদের থেকে টাকার বিনিময়ে চাল কেনে ভোলা। গতকাল সন্ধেয় গ্রামের এক শ্রমিক তাকে চাল ও আটা বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। সন্ধেয় ভোলা ওই শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে চালের মান পরীক্ষা করেন। গুদামে চাল ওজনের পর সে চালের জন্য ৩৫০ টাকা দিতে রাজি হয়। চাল ওজন করার জন্য গুদামে যায় ভোলা। সঙ্গে যায় শ্রমিকের ১০ বছরের মেয়ে ও ৬ বছরের ভাগ্নি। অভিযোগ, গুদামের বাইরে ভাগ্নিকে দাঁড় করিয়ে ১০ বছরের মেয়েটিকে নিয়ে গুদামে ঢোকে ভোলা। সেখানেই সে ওই বাচ্চাটিকে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের বাড়ি ফিরিয়ে পরিবারের হাতে ৩৫০ টাকা দিয়ে পালিয়ে যায় সে। কিছুক্ষণ পর মেয়ের শরীরে রক্ত দেখে ঘটনা জানতে চান পরিবারের লোকজন। ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরেই তড়িঘড়ি মেয়েকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে চাঁচলে ভরতি করা হয়।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভোলাকে খুঁজে ধরে নিয়ে আসে গ্রামবাসীরা। চলতে থাকে গণধোলাই। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এলাকায় ছুটে এসে অভিযুক্ত ভোলাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করতেই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন। ইটের আঘাতে আহত হন এক পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির নেতৃত্বে কমব্যাট ফোর্স এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পরে পুলিশকর্মীরা অভিযুক্ত নজরুল ওরফে ভোলাকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোলা একটি ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে। মেয়ের শরীরে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরেই ওকে খুঁজে নিয়ে আসে। তাকে মারধরও করা হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশও। অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খানিকটা ধস্তাধস্তি হয়।

[ আরও খবরঃ জল ঢুকছে গ্রামে, চরম বিপদসীমা ছাড়িয়ে বেড়েই চলেছে গঙ্গা ]

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন