অর্ক চৌধুরি
Aug 10, 2022
মিউজিয়াম মানেই তো নস্টালজিয়া। চোখের পাতা যেন চোখের সামনে খুলে গিয়েছে। কত অজানা রহস্যের উন্মোচন। মালদা যে একসময় পোড়ামাটির স্থাপত্য ভাস্কর্য তৈরি হতো তা এই মিউজিয়ামে এলেই জানা যাবে। কিন্তু এতসব এরপরেও কোথায় যেন একটা মিসিং লিঙ্ক থেকে যাচ্ছে। সেটা বোঝা যাবে জগজীবনপুর গ্যালারিতে ঢুকলেই। দুটো ছোট্ট শোকেসে কিছু পোড়ামাটির সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই মিলবে না এখানে। অন্তত জগজীবনপুরের ছবিটাও যদি থাকতো, আক্ষেপ এক দর্শকের। পাঁচ টাকার টিকিটটা তো কাটলাম। কিন্তু কোনটা কী বোঝাবে কে? গাইড কোথায় মিউজিয়ামে?
সমস্যা যে আছে সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন স্বয়ং জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়াও। তাই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজেই পৌঁছে যান মিউজিয়ামে। ঘুরে দেখেন প্রতিটি ঘর। বুঝতে পারেন কর্মী সংকটের বিষয়টি প্রকট। কিউরেটর নেই। নেই কোনো স্থায়ী কর্মীও। গাইডের তো প্রশ্নই ওঠে না। বিষয়টি অনুধাবন করে জেলাশাসক বলেন, মিউজিয়ামে কিউরেটর নিয়োগের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় সেটিও না চিন্তার মধ্যে রয়েছে। চাইছি মিউজিয়ামটিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে। এজন্য মিউজিয়ামে একটি ক্যাফেটেরিয়া করার পরিকল্পনাও রয়েছে। মিউজিয়াম ঠিকঠাক পরিচালনার জন্য নতুন করে কমিটি তৈরির চিন্তাভাবনা করছি আমরা। আশা করছি পুজোর আগেই সাধারণ মানুষের জন্য মিউজিয়ামটিকে নতুন করে খুলে দেওয়া যাবে। জেলাশাসকের আশ্বাসবাণীতে মিউজিয়াম ঘিরে আশার আলো দেখছেন মালদা জেলার ইতিহাসপ্রেমীরা।
[ আরও খবরঃ ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত স্কুল, সমস্যায় পড়ুয়ারা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন