আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

May 9, 2020

এক লাফে সাত, আজমের ফেরত চার করোনা আক্রান্ত

Updated: Sep 15, 2020

গতকাল রাতে মালদা মেডিকেল কলেজের লালারস পরীক্ষার রিপোর্টে একসঙ্গে চারজনের দেহে কোভিড১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ এনিয়ে জেলার মোট সাতজন কোরোনায় সংক্রমিত হল৷ আক্রান্তদের পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মে রাজস্থানের আজমের থেকে ২২৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক ও কিছু তীর্থযাত্রীকে জেলায় ফেরান হয়৷ মালদা পৌঁছোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্ক্রিনিং ও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ সূত্রের খবর, সেই নমুনাতেই চারজনের দেহে করোনা সংক্রমণের হদিশ মিলেছে৷

আক্রান্তরা সবাই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বাসিন্দা৷ প্রত্যেকে পরিযায়ী শ্রমিক৷ তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা৷ এদের একজনের বাড়ি মহেন্দ্রপুর গ্রামে, একজনের বাড়ি মানকি গ্রামে ও বাকি দু’জনের বাড়ি রানিপুড়া গ্রামে৷ কারোর শরীরেই করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না৷ রাতেই তাদের পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে৷ তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়ে গিয়েছে৷

জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুরের নতুনটোলায়৷ তিনি উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয় আক্রান্তের সন্ধান মেলে রতুয়া ১ ব্লকের বাহারাল গ্রামে৷ ওই মহিলা পেশায় ভিক্ষুক৷ মাস দুয়েক আগে এলাকার আরও কয়েকজনের সঙ্গে মুম্বইয়ে ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন৷ দু’দিন আগে তৃতীয় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায় নারিদিয়ারা গ্রামে৷ তিনিও বারাসাতে নির্মাণের কাজ করতে গিয়েছিলেন। গত ২১ এপ্রিল প্রথম আক্রান্তের সঙ্গেই বাড়ি ফেরেন।

এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানিকচক এবং রতুয়া ১ ও ২ ব্লকের তিনটি এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল৷ এবার হরিশ্চন্দ্রপুরে একসঙ্গে চারজনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা প্রশাসনের৷ এদিকে এখনও পর্যন্ত মালদা মেডিকেল কলেজে মোট ২,৩৪৭ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তারমধ্যে ২,৩৪০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ৷ আরও ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে এসে পৌঁছেছে৷