আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Jun 13, 2019
Updated: Sep 25, 2020
সম্প্রতি ভূতনির হীরানন্দপুর এলাকার কেশরপুর গ্রামে গঙ্গার ভাঙনরোধের কাজ শুরু হয়৷
সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকেই সেই কাজ করা হচ্ছে৷ মোট ৩৬ কোটি টাকার কাজ এটি৷ সেই কাজের বখরা দাবি করে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী৷ এসব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল সেখানে। এইসময়ে শেষ পর্যায়ের কাজ পরিদর্শনে সেখানে যান সেচ দপ্তরের কর্মী মোহম্মদ আলম শেখ ও চিরঞ্জিৎ মিশ্র। দুষ্কৃতীরা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমার স্প্রিন্টারে আহত হন গাড়ির চালক সহ এই দুই সেচকর্মী। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের তড়িঘড়ি মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসা হওয়ার পর তাঁদের দুজনকেই শহরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। দুদিন আগেই নার্সিংহোমে থেকে বাড়ি ফেরেন আলমবাবু। অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তারের পরামর্শে তিনি বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন। গতকাল হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙ্গীটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে। উল্লেখ্য, মোহম্মদ আলম শেখের বাড়ি কালিয়াচক ২ ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রামে। গ্রামীণ হাসপাতালেই মারা যান আলমবাবু। পরে মৃতদেহ মালদা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত করাতে নিয়ে আসা হয়।
আগের খবরঃ গঙ্গার ভাঙনরোধের কাজে বখরা দাবি, আক্রান্ত সেচ কর্মী
জেলা সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানালেন, ভূতনির কেশরপুর গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে এই মাসের ১ তারিখ৷ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে বাড়িতেই বিশ্রামে ছিলেন আলম শেখ৷ বুধবার দুপুরে তিনি আবার অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ তাঁর মৃত্যুতে তিনি ও সেচ দপ্তরের প্রতিটি কর্মী শোকাহত৷ এদিন তাঁর মৃতদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে৷ দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে আক্রান্ত আরেক সেচ কর্মী চিরঞ্জিৎ মিশ্র এখন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷