আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Sep 24, 2020
Updated: Sep 25, 2020
এবছর ৫ জানুয়ারি মানিকচকের মথুরাপুরের কাকরিবাঁধা সিংপাড়ায় অত্যাধুনিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন সিটু মণ্ডল ও কৃষ্ণা চৌধুরি নামে দু'জন ৷ তারা ভূতনি থানা এলাকার বাসিন্দা।। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। বোমাগুলি দেখতে ছিল জাম ফলের মতো। স্থানীয়রা বাটুলি বোমা হিসেবেও অনুমান করেন সেসময়। মালদায় এই ধরনের বোমা প্রথম উদ্ধার বলে দাবি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এরপর ঘটনার তদন্তভার বর্তায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর কাছে।
সূত্র মারফত জানা যায়, মুর্শিদাবাদে আল কায়দা যোগে ছয়জন গ্রেফতার হয়। ধৃতদের জেরা করে এই যুবকের নাম পান তদন্তকারীরা৷ শুধু সিদ্ধার্থই নয়, ভূতনি এলাকার আরও তিনজনের নামও তারা পেয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ ভূতনি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্ধার্থরা আগে ঝাড়খণ্ডে থাকত ৷ এখনও সেই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তার।
তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া যুবক ভুতনি থানার হীরানন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হরচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মণ্ডল। যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুমাস আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরাক্কায় সিদ্ধার্থকে ডেকে পাঠায় এনআইএ। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধার্থ আগেও একাধিকবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। এমনকি, জেলও খেটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
হরচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানালেন, বছর দেড়েক আগে ঝাড়খন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও নাম জড়ায় সিদ্ধার্থ মণ্ডলের। সেই কাণ্ডেও ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। সেখানে জেলে থাকার পর জামিনে গ্রামে ফিরে আসে সে। গ্রামের স্কুলেই নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা সিদ্ধার্থের। সেই সময়ও একটি ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছিল সে। আগে ঝাড়খণ্ডে বসবাস করত সিদ্ধার্থরা। গ্রামে গঙ্গা পেরিয়ে ওপারে গেলেই ঝাড়খণ্ড।
সিদ্ধার্থের বাবা মানিক মণ্ডল ও মা মঞ্জুর। বাবার বললেন, কোথায় থেকে বোমা বানানো শিখেছে, আমরা এসবের কিছুই জানি না। ছেলের গ্রেফতার হওয়ার খবর এনআইএ আমাদের ফোন করে জানিয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন