আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Nov 24, 2022

অবৈধভাবে বাংলার মাটি যাচ্ছে বিহারের ইটভাটায়!

শাসকদলের নেতাদের মদতে মাটি কেটে বিহারে পাচারের অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে। এর আগেও একাধিকবার এই অভিযোগ সামনে এসেছে। বারবার একই ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সমস্ত ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের রটানো বলে প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।

বারবার অবৈধভাবে মাটি কেটে বিহারের পাচারের অভিযোগ উঠছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা এলাকায়। কিছু দিন আগেই অবৈধভাবে মাটি কাটা নিয়ে সরগরম হয়েছিল জেলার রাজনীতি। রতুয়া এলাকাতে নদী তীরবর্তী অঞ্চল থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই নিয়ে সরব হন খোদ রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখার্জি। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও এই নিয়ে কঠোর বার্তা দেন। কিন্তু তারপরেও অবৈধভাবে মাটি কাটা চলছে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা এলাকায়। অভিযোগ, প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়ায় মাটি কেটে বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চড়া দামে সেখানে ইটভাটাগুলিতে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শাসকদলের মদত ছাড়া এভাবে কাজ চলতে পারে না। একই অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,

এভাবে মাটি কাটার ফলে জমি নিচু হয়ে যাচ্ছে। মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাঘাট নোংরা হচ্ছে। পুরো এলাকা ধুলোয় ভরে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রবল সমস্যা হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাদের মদতেই হয়তো এসমস্ত ঘটনা ঘটছে।

[ আরও খবরঃ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথা মালখানের গলাতেও ]

মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, মাটি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নিয়ম মেনে কাটা হয়। তারপরও যদি কেউ অনুমতি না নেয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। সংবাদমাধ্যম সব কিছুতে তৃণমূলকে জড়িয়ে দিচ্ছে।

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, শাসকদল এবং প্রশাসনের মদত ছাড়া এটা সম্ভব না। শাসকদলের নেতারা নিজেদের পকেট ভরতেই এই কাজ করে যাচ্ছে। আর প্রশাসন চুপ করে বসে আছে।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন