আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

Dec 9, 2020

সরকারি মূল্যে ধান কেনার শিবিরে ধলতা, ক্ষোভ চাষিদের

সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার শিবিরে ধলতা নেওয়ার অভিযোগ উঠল বামনগোলায়। অভিযোগ, কৃষকদের থেকে কখনও পাঁচ কেজি কখনও আট কেজি করে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে আজ বিডিওকে ডেপুটেশন দিলেন বামনগোলার কৃষকরা।

রাজ্য জুড়ে প্রতিটি ব্লকে শুরু হয়েছে সরকারি মূল্যে ধান কেনার শিবির। অভিযোগ, সরকারি মূল্যে ধান কেনার শিবির খুললেও সেখানে নানারকম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদেরকে। রাজ্য সরকার বারবার বলেছে কৃষকদের কাছ থেকে ধানকোড়া কেনার ক্ষেত্রে কোনোরকম ধলতা নেওয়া যাবে না। এরপরেও বামনগোলা কৃষক বাজারে ধান কেনার শিবিরে কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি পাঁচ কেজি থেকে আট কেজি ধলতা নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের আরও অভিযোগ, বামনগোলা ব্লকে একটি মাত্র ধান কেনার শিবির খোলা হয়েছে। ফলে দূর-দূরান্তের কৃষকদের ধান ওই শিবিরে নিয়ে আসতে যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

[ আরও খবরঃ সমকাজে সমবেতনের দাবিতে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ]

বঞ্চিত কৃষকদের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ান কামতাপুর পিপলস পার্টি ইউনাইটেডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বর্মণ। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কৃষকদের সুবিধার জন্য ও ফড়েদের হাত থেকে বাঁচতে কৃষকদের জন্য সরকারি ন্যায্যমূল্যে ধান কেনার শিবির চালু করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সমস্ত শিবিরগুলিতে কৃষকদের থেকে কুইন্টাল প্রতি পাঁচ কেজিরও বেশি ধলতা নেওয়া হচ্ছে। কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে আসলে তাদের অনেক সময় দিতে হচ্ছে। একটি মাত্র শিবির হওয়ায় চড়া ভাড়ায় শিবিরে ধান নিয়ে আসতে হচ্ছে কৃষকদের। ব্লক প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, ব্লকে এই শিবিরের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকদের কাছ থেকে কোনোরকম ধলতা নেওয়া যাবে না।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন