আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
Jun 11, 2020
Updated: Aug 10, 2020
বুধবার রাত ১১.৫৫ পর্যন্ত মালদা মেডিকেল কলেজে ৮৭৮টি নমুনার পরীক্ষায় ৩৮ জনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়। এরমধ্যে মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর, এই দুই জেলারই ১৭ জন করে আক্রান্ত বাকি চারজন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। গতকাল রাতে আরও ৩৩টি নমুনার পরীক্ষা পর্ব শেষ হয় নি। নতুন করে করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তবে গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাসে সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে যে দু'জনের রিপোর্ট পজিটিভ, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায় নি।
চাঁচলের পাঁচ করোনা আক্রান্তের মধ্যে দু’জন মহিলা, এরমধ্যে একজনের বয়স ১৪। এরা চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের মোতিহারপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা, জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও জানা গেল, রতুয়া-১ ব্লকের দেবিপুর, বিলাইমারি ও মহানন্দটোলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার একজন করে এবং ভাদো গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত৷ রতুয়া-২ ব্লকের দুই সংক্রামিতই সম্বলপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা৷ ইংরেজবাজারের সংক্রামিত ব্যক্তির বাড়ি কোতয়ালি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়৷ কালিয়াচক-২ ব্লকের আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি পঞ্চানন্দপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়৷ পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার একজন এবং হবিবপুরের জগজীবনপুর এলাকার একজন এই ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে৷ আর মানিকচকের যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি মানিকচক ব্লকের মীরাগ্রামে থাকেন৷ (আপডেট)
মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে মালদা জেলার ৭৭৭টি লালারসের নমুনা আসে। সাথে উত্তর দিনাজপুর থেকে ১৫৪টি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ৫৭টি নমুনাও জমা হয়। মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে ‘ব্যাকলগ’-এর সংখ্যা এদিন ৮৭৮টি। যা আগের দিনগুলির তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে এখন পর্যন্ত ২৪,১৮৪টি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ এরমধ্যে ৪২৪টি নমুনার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ এসেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে বুধবার দেখা গেল দেশে মোট ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর আক্রান্তের সংখ্যা দেশে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার। এই প্রথম আক্রান্তের সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে সুস্থতার পরিসংখ্যানকে। অন্যদিকে আনলকের প্রথম সপ্তাহে বাংলায় হুহু করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতমাসের প্রথম আটদিনের তুলনায় জুনে এই আটদিনে তা বেড়েছে ২,২৫৮ জন। তবে পশ্চিমবঙ্গের সাথে সাথে একই বৃদ্ধির হার দেখা গেছে বিহার, উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডেও। অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফেরার ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে এমন আশঙ্কা আগেই ছিল বিশেষজ্ঞ মহলে।
টপিকঃ #CoronaVirus #CovidPositive