পাকুয়াহাটে হঠাৎ মহকুমাশাসক, প্রতিবাদে পথ অবরোধ ব্যবসায়ীদের
আজ দুপুরে হঠাৎই প্রশাসনিক কর্তা ও পুলিশ নিয়ে পাকুয়াহাটে হাজির হন সদর মহকুমাশাসক সৈয়দ এন। তিনি সেখানকার দোকানগুলিতে হানা দিতে শুরু করেন। প্রতিটি দোকানের কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখতে থাকেন তিনি। ওই দোকানগুলির মালিকরা ব্যাবসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি দেখাতে না পারায় মহকুমাশাসক চারটি দোকান তালা মেরে সিল করে দেন। সেই খবর পেয়েই পাকুয়াহাট ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ। পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে দেখে হানাদারি ছেড়ে বিডিও অফিসে চলে যান মহকুমাশাসক। এরপরেই ব্যবসায়ীরা মহকুমাশাসকের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাকুয়াহাটে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। একইসঙ্গে বিডিও অফিস চত্বরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। খানিক পরে মহকুমাশাসক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের বিডিও'র ঘরে ডেকে পাঠান। দু'পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। বিকেল নাগাদ মহকুমাশাসক বামনগোলার জয়েন্ট বিডিও সঞ্জিতকুমার মৃধাকে সিল করা দোকানগুলি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরেই নিজেদের বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ তুলে নেন ব্যবসায়ীরা।
শুধু পথ অবরোধই নয়, রীতিমতো মাইকযোগে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি অনুধাবন নিজের নির্দেশ থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হন মহকুমাশাসক।
ঘটনাপ্রসঙ্গে পাকুয়াহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিমাই সিংহ বলেন, মহকুমাশাসক যে কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র খতিয়ে দেখতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য ব্যবসায়ীদেরও সময় দেওয়া প্রয়োজন। এদিন মহকুমাশাসক কোনও সময় না দিয়েই দোকানগুলি সিল করে দেন। তাঁরা প্রশাসনিক কর্তার এই সিদ্ধান্তেরই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। অবশেষে মহকুমাশাসক তাঁদের আবেদন মেনে নেওয়ায় তাঁরা নিজেদের প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন। তাঁরা যে-কোনো বিষয়ে এর আগেও প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। কিন্তু প্রশাসনের কোনও অন্যায় পদক্ষেপ মেনে নেবেন না।
এবিষয়ে মহকুমাশাসক কিছু বলতে না চাইলেও বামনগোলার বিডিও সমীরকুমার দে জানিয়েছেন, পাকুয়াহাটের সমস্ত ব্যবসায়ীকে এদিন দু'মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে তাঁদের সমস্ত ব্যবসায়িক নথিপত্র ঠিক করে রাখতে হবে। দু'মাস পর ফের প্রশাসন দোকানে দোকানে হানাদারি চালাবে।