শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ বিদ্যুৎ দপ্তরের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে
তদন্তের নামে বিদ্যুৎ দপ্তরের এক মহিলা কর্মীকে দপ্তরের মধ্যেই শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠল মালদা শহরের রথবাড়ি সেক্টর অফিসে। অভিযোগ উঠেছে দপ্তরেরই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় সোমবার রাতে ওই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা ওই মহিলা কর্মীর ছেলে৷ বর্তমানে নিগৃহীতা কর্মী মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরে৷ যদিও এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন দপ্তরের আধিকারিকরা৷
অভিযোগ, ওই মহিলা কর্মীকে ঘরে ঢুকিয়ে তাঁরা দরজা বন্ধ করে দেন৷ প্রায় ৪০ মিনিট পর দরজা খুলতেই সেক্টর অফিসের অন্যান্য কর্মীরা দেখতে পান, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা কর্মী৷ তাঁর কোনও জ্ঞান নেই৷
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে মালদা শহরের রথবাড়ি সেক্টর অফিসে তদন্তে যান বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল অফিসের তিন আধিকারিক আমজাদ আলি, এ বিজয় শংকর ও আকরামুদ্দিন আহমেদ৷ সেক্টর অফিসের সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের ঘরে বসে তাঁরা তদন্ত শুরু করেন৷ সেখানে তাঁরা ডেকে পাঠান দপ্তরের রিসিভ সেকশনে কর্মরত বছর পঞ্চাশের এক মহিলা কর্মীকে৷ অভিযোগ, ওই মহিলা কর্মীকে ঘরে ঢুকিয়ে তাঁরা দরজা বন্ধ করে দেন৷ প্রায় ৪০ মিনিট পর দরজা খুলতেই সেক্টর অফিসের অন্যান্য কর্মীরা দেখতে পান, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা কর্মী৷ তাঁর কোনও জ্ঞান নেই৷ কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও রিজিওনাল অফিসের আধিকারিকরা কোনও উত্তর দিতে পারেননি৷ সন্ধে নাগাদ তড়িঘড়ি ওই কর্মীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন দপ্তরের কর্মীরা৷ খবর দেওয়া হয় মহিলা কর্মীর বাড়িতে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে রণদেব বর্মণ নামে ওই অফিসের এক কর্মী বলেন, তদন্তের নামে প্রায়ই কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন রিজিওনাল দপ্তরের আধিকারিকরা৷ কিন্তু তাঁরা যে একজন মহিলা কর্মীর সঙ্গে এধরণের আচরণ করবেন তা তাঁরা কেউ ভাবতে পারেননি৷ ওই তিন আধিকারিক দপ্তরের একজন সিনিয়র মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করেছেন৷ তাঁকে মারধরও করা হয়েছে৷ তাঁরা কিছুতেই এসব নোংরামি বরদাস্ত করবেন না৷
সোমবার রাতে ইংরেজবাজার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত ওই মহিলা কর্মীর ছেলে৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ তবে এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি৷
Tags: