ঋতমা দাস
গ্রীষ্মকাল আসার আগেই সবাই বলে-- ‘আবার আসছে ওই পচা গরম’৷ কিন্তু আমি সারা বছর ধরে গ্রীষ্মের ছুটির জন্য অপেক্ষা করে থাকি৷ এইসময় আমরা কোথাও ঘুরতে যাই৷ স্কুলের শেষ দিনে খুব দুঃখ হল৷ আবার এক মাস পরে বন্ধুদের সাথে দেখা হবে৷ যাই হোক! কী আর করা যায়? বাড়ি এসে ক্যালেন্ডারে দেখলাম-- এক সপ্তাহ বাদেই আমরা মামার বাড়ি যাচ্ছি৷ আনন্দে মনটা ভরে গেল৷ এক সপ্তাহ পর সকালবেলা আমি আর মা মালদা স্টেশনে একটি ট্রেনে উঠলাম৷ ট্রেনটা কটক যাচ্ছিল৷ ট্রেনলাইনের আঁকাবাঁকা পথ, দু-ধারের সবুজ গাছপালা, খোলা মাঠ, বীরভূমের লালমাটি৷ শিমুল, কৃষ্ণচূড়া আর পলাশে চারিদিকে যেন আগুন জ্বলছে৷ মেদিনীপুরে মামার বাড়ি ঢুকেই আশ্চর্য হয়ে গেলাম৷ দেখলাম গেটের পাশেই একটা বেলফুলের গাছ ফুলে ভরে আছে৷ হঠাৎ মনে পড়ল-- ‘আরে আমিই তো এই গাছটা আগের বছর পুঁতেছিলাম৷’ মনে হল যেন এই গাছ আজ আমাকে তার সাদা ফুল দিয়ে ওয়েলকাম করছে৷ ওখান থেকে বেড়াতে গেলাম ইস্পাতনগরী টাটা৷ ওখানে চারিদিকে লোহার গুঁড়ো জমে পাহাড়ের আকার নিয়েছে৷ শহরটা সুন্দর-- অন্যরকম অভিজ্ঞতা৷
ঋতমা দাস
চতুর্থ শ্রেণি, ঊষা মার্টিন স্কুল