প্রধান শিক্ষক দেরিতে আসেন স্কুলে, তালা ঝোলাল অভিভাবকেরা
স্কুল নয় যেন এক আড্ডাখানা। প্রধান শিক্ষক আসেন দুপুর ১২টায় আর চলে যান দুপুর ২টায়, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ফলে ক্ষোভ জমেছিল বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে। আর এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল সোমবার। স্কুলে দেরিতে আসছেন প্রধান শিক্ষক যিনি স্কুলের পঠন পাঠনে কোন গুরুত্ব দেন না। স্কুলের মধ্যেই চলে ধূমপান- এই সমস্ত অভিযোগ তুলে সোমবার বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা।
পড়ুয়ারা জানায় প্রত্যেকদিন তাদের প্রধান শিক্ষক দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন। তারা ১১ টার সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও প্রধান শিক্ষকের দেখা মিলে ১২টার সময়। ফলে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শ্রেণীকক্ষের বাইরেই থাকতে হয় তাদের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিমাংশু দাস দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে দেরিতে আসছেন। যেহেতু প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকে বিদ্যালয়ের চাবি, তাই প্রধান শিক্ষক না আসা পর্যন্ত পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা সকলকেই বিদ্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। আজ সমস্ত অভিভাবকেরা ও গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ১২ টা ৩০ নাগাদ প্রধান শিক্ষক হিমাংশু দাস বিদ্যালয়ের পেছন দরজা দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে অভিভাবকেরা তাঁকে বিদ্যালয়ের মধ্যে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় ঘণ্টা খানেক তাঁকে আটকে রাখা হয়। গ্রামবাসীদের ও অভিভাবকদের আরও অভিযোগ প্রধান শিক্ষক হিমাংশু দাস আসেন ১২ টা থেকে ১২.৩০ নাগাদ আবার ২ টা বাজতেই তিনি রওনা দেন বাড়ির পথে। তাই প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবি করেন গ্রামবাসীরা। বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়ারা জানায় প্রত্যেকদিন তাদের প্রধান শিক্ষক দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন। তারা ১১ টার সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও প্রধান শিক্ষকের দেখা মিলে ১২টার সময়। ফলে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শ্রেণীকক্ষের বাইরেই থাকতে হয় তাদের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুল এসআই মুলেক মণ্ডল জানান, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে ঘটনাটি জানার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত সেই মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।