মুখোশের আড়ালে গম্ভীরা মহানন্দা ক্লাবে
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে এক ও অন্যতম হল দুর্গাপুজো। বছরের এই পাঁচটি দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকে আশি সকলেই। শুধু সাধারণ মানুষই কেন? দুর্গাপুজোয় ভালো পুজোর সাথে ভালো থিম উপহার দিতে প্রস্তুত ক্লাব উদ্যোক্তারাও।
এবছর মহানন্দা ক্লাব ও গ্রন্থাগার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির থিম ‛মুখোশ’। মালদার অতিপ্রাচীন লোকসংস্কৃতি হল গম্ভীরা। মালদার গম্ভীরা আজ বিশ্বখ্যাত। এই গম্ভীরার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অঙ্গ মুখা অর্থাৎ মুখোশকেই বেছে নিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন দেব-দেবী থেকে শুরু করে জন্তু-জানোয়ার ও সাধারণ মানুষের মুখোশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ক্লাবের মণ্ডপ। শুধু তাই নয়, গোটা মণ্ডপ জুড়ে থাকছে অসংখ্য মডেল। এই মডেল গুলি গম্ভীরার বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে তুলে ধরবে। মণ্ডপের সাথে প্রতিমাকেও দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হবে নতুন রূপে। পৌরাণিক মূর্তির আদলে ত দেবীমূর্তি তৈরি করেছে মৃৎশিল্পী রাজকুমার পণ্ডিত ও তার ছেলে কণক পণ্ডিত। ক্লাব উদ্যোক্তারা জানান, বর্তমান প্রজন্ম প্রায় ভুলতে বসেছে গম্ভীরাকে। তাই নব প্রজন্মের কাছে মুখোশের মাধ্যমে গম্ভীরাকে তুলে ধরতে প্রস্তুত মালদা মহানন্দা ক্লাব ও গ্রন্থাগারের পুজো উদ্যোক্তারা।
