মিস্ত্রিপাড়ায় মায়ের ত্রিনয়ন
তৃতীয় নয়ন হল রহস্যময় অদ্ভুত চোখ যা উচ্চতর চেতনার প্রতীক। আধ্যাত্মিকতায় তৃতীয় চোখ প্রায়শই আলোকিত ভাবনার প্রতীক। ত্রিনেত্র ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির সাথে যুক্ত থাকে, আলোচনা চক্র ও আউরা পর্যবেক্ষণ করবার ক্ষমতা, অনুমান এবং শরীরের বাইরের অভিজ্ঞতা। যাদের ত্রিনয়ন ব্যবহার করার ক্ষমতা বর্তমান, তারা কখনও কখনও দ্রষ্টা হিসেবে পরিচিত হয়।
হিন্দু ও বুদ্ধ ধর্মে ত্রিনয়ন কপালের মাঝ বরাবর অবস্থিত বলে বলা হয়। বলা হয়, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এই ত্রিনয়ন অর্থাৎ জ্ঞান চক্ষু বর্তমান।
এবছর কুড়ি বছরে পদার্পণ করল এই ক্লাবের পুজো। নব্য প্রজন্ম তথা প্রতিটি মানুষের কাছে এই ত্রিনয়নের ধারনাকে তুলে ধরতে এই থিম বেছে নেওয়া। বাঁশ, কাঠ, প্লাই ও রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সাথে থাকছে থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা। এই থিম ও মণ্ডপের সমস্ত দায়িত্বে আছেন বিবেক রায়। প্রতিমার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। মায়ের প্রতিমাতে থাকছে দুটি হাত। বাকী আটটি হাত আশীর্বাদের রূপক হিসেবে থকছে মণ্ডপে। গোটা মণ্ডপ জুড়ে থকছে মায়ের চোখ, তার দ্বারা মা যেন আমাদের ওপর সর্বদা কৃপাদৃষ্টি রাখছেন। এই সম্পূর্ণ থিমকে রূপ দিতে খরচ পড়বে আনুমানিক সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। আগামী চতুর্থীতে উদ্বোধন হচ্ছে মণ্ডপ।
মালদা শহরের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে একটি কুতুবপুর মিস্ত্রিপাড়ার পুজো। প্রতিবছর থিমের জাদুতে দর্শকদের মন জয় করে এই ক্লাব। এই বারও তার অন্যথা হবে না, এমনটাই জানিয়েছেন এবছরের ক্লাবের পুজো কমিটির সেক্রেটারি উত্তম দাস।
[ আরও খবরঃ ইউনেস্কোর সম্মাননা এইবার দিলীপ স্মৃতি সংঘের থিমে ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments