পঞ্চায়েত প্রার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজের ঘর থেকে পঞ্চায়েত প্রার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোলে। এদিন সকালে নিজের ঘর থেকে পুলিশকর্মীরা তাঁর দেহ উদ্ধার করে।
মৃত ওই প্রার্থীর নাম কঙ্কণ বালা। বয়স ২২ বছর। তিনি ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির প্রার্থী হিসেবে মালদা জেলা পরিষদের ৮ নম্বর আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কঙ্কণের বাড়ি গাজোল ব্লকের পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চিনিদানা কলোনি গ্রামে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন কঙ্কণ। গ্রামের আইসিডিএস সেন্টারে কাজ করেন তিনি। রাজনীতির প্রতি তাঁর উৎসাহ দেখে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি তাঁকে ৮ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে নিজেদের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে। মনোনয়ন জমা করে প্রচারে যথেষ্ট সাড়াও পাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
কঙ্কণের দাদা তুহিন বালা বলেন, প্রতিদিনের মতো বোন এদিনও আইসিডিএস সেন্টারে চলে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে সে নিজের ঘরে ঢুকে পড়ে। সেন্টার কিংবা প্রচার থেকে ফেরার পর মাঝেমধ্যেই মাথা ব্যথা করত তার। তাই এনিয়ে কেউ কিছু ভাবেনি। কিন্তু রান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পর মা বোনকে ডাকাডাকি করলেও সে কোনও সাড়া না দেওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে দেখেন, ঘরের ভিতর ঝুলছে বোনের দেহ। এরপরেই তাঁরা গাজোল থানায় খবর দেন।
কঙ্কণের দাদা তুহিনবাবুর বক্তব্য, তাঁর বোনের আত্মহত্যা করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে সে নিয়মিত প্রচারে বেরোচ্ছিল। প্রচারে ভালো সাড়াও পাচ্ছিল সে। তবে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে শাসকদল কিংবা অন্য কোনও দল থেকে তাঁর বোনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল কিনা তা তিনি বলতে পারবেন না। যদিও এমন ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। তাঁর বোনের মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছে গাজোল থানার পুলিশ। তাঁরা চান, এনিয়ে পুলিশ যথাযথ তদন্ত করুক।
এই ঘটনা নিয়ে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির রাজ্য সহ সভাপতি মোহন হাঁসদাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
প্রতীকী ছবি।