জনশূণ্য চাঁচল ২ ব্লকের পারানিনগর গ্রামের ভোটকেন্দ্র
গত সোমবারের রাজনৈতিক সন্ত্রাস দেখেছেন গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তার অভাবে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই গ্রামবাসী। এরকম নিরপত্তাহীনতায় ভোট দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের অপেক্ষায় রয়েছেন ভোটকর্মীরা। কিন্তু পুনর্নির্বাচনে জনশূণ্য চাঁচল ২ ব্লকের পারানিনগর গ্রামের ৩১/২ নম্বর ভোটকেন্দ্র।
গত সোমবার এই বুথ ও আশেপাশের এলাকা যেন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। বোমাবাজি থেকে গোলগুলি কোনকিছুই বাদ যায়নি। হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের হামলায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই গ্রামবাসী। এদিন গ্রামবাসীরা জানান, গত সোমবারের ভয়াবহ দৃশ্য এখনও তাঁদের চোখের সামনে ভাসছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা ভালোভাবেই পালন করেছে বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। ভোট দিতে গিয়ে তাঁরা কেউ প্রাণ হারাতে চান না। তাই এদিন কেউ দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই বুথে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে প্রায় দশ জন নিরাপত্তাকর্মী বুথের চারিদিকে ঘুরছেন। ভোটকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে তৈরি। কিন্তু কেন্দ্রে নেই কোন ভোটার। বুথের প্রিজাইডিং অফিসার হিমাংশু মণ্ডল জানালেন, সকাল থেকেই তাঁরা ভোটকেন্দ্রে রয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো গ্রামবাসী ভোটকেন্দ্রের মুখোমুখি হননি। তবে ওই গ্রামেরই পরানিনগর ম্যানেজড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১/১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে৷ সকাল থেকে সেখানে লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা৷ ভোটকে কেন্দ্র করে এদিন পুলিশি নিরাপত্তাও সেখানে বাড়ানো হয়েছে৷
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক