চাঁচলে শুরু হল অষ্টাদশ উত্তর মালদা বইমেলা
চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশন মাঠ প্রাঙ্গণে শুরু হল ১৮ তম উত্তর মালদা বইমেলা উৎসব। ২০০২ সাল থেকে চাঁচলের কুমার শিবপদ লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয়ে আসছিল এই বইমেলা। তবে এবার সিদ্ধেশ্বরী মাঠ প্রাঙ্গণে এই বইমেলার উদ্বোধন হয়।
তিনদিন আগেই মালদা কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে মালদা জেলা বইমেলা। আজ সুইমিংপুলের পাশে চাঁচলে সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনের মাঠে উত্তর মালদা বইমেলার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ জ্যো তিভূষণ পাঠক। বইমেলা উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পড়ুয়া, বইপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনস্ক মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতি হাতে বই চাই, বই কিনুন - বই পড়ুন, বই উপহার দিন এই সমস্ত শ্লোগানের মাধ্যমে শোভাযাত্রা থেকে চাঁচলবাসীকে বার্তা দেওয়া হয়। পদযাত্রার শেষে ফিতে কেটে বইমেলার দ্বারোদঘাটন করেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ জ্যো তিভূষণ পাঠক ও রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন মৌসম নুর। উপস্থিত ছিলেন মালতিপুরের বিধায়ক আলবেরুণি জুলকারনাইন, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, চাঁচল মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস সহ বিশিষ্টজনেরা।

জ্যোতিভূষণ বলেন, বইমেলায় বইকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ইন্টারনেটে অনেক তথ্য পাওয়া যায় বটে। কিন্তু বইপড়ার মজাই আলাদা। ই-বুকের সময়ে পড়ুয়াদের বই পড়ার আহ্বান জানান জ্যোতিভূষণবাবু।
উত্তর মালদা বইমেলায় ৩০টি বুক স্টল রয়েছে। সাতদিন ধরে বইমেলা মঞ্চে চলবে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি অঙ্কন, কুইজ, লোকনৃত্য, আবৃত্তি সহ একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান কমিটির সম্পাদক আব্দুল সাত্তার।