জাতীয় ফাউন্টেন পেন ডে-তে উচ্ছ্বসিত সহস্রাধিক পেন সংগ্রাহক
আজ জাতীয় ফাউন্টেন পেন ডে। লেখনীর বিবর্তনের ইতিহাস স্মরণ করে রাখতে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার এই দিনটি উদযাপন করা হয়। জাতীয় ফাউন্টেন পেন ডে-তে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন মালদা শহরের গ্রীনপার্ক এলাকার বাসিন্দা সুবীর কুমার সাহা।
সুবীরবাবু পেশায় গ্রন্থাগারিক হলেও একাধিক শখ রয়েছে তাঁর। তারমধ্যে অন্যতম পেন সংগ্রহ। বর্তমানে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে হাজারের বেশি পেন। প্রাচীন যুগের পাথরের গায়ে চিত্রকলা খোদাই করার জন্য ছুঁচালো পেন থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের টেকনোলজি সমৃদ্ধ পেনও রয়েছে সুবীরবাবুর সংগ্রহে। রয়েছে সোনা, রূপো, তামা, পাথর, কাঠ, বাঁশ এমনকি কাগজের তৈরি পেনও।
সুবীরবাবু জানান,
ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর পেন সংগ্রহের নেশা৷ একসময় মানব জীবনের ইতিহাস সংরক্ষণের একমাত্র উপায় ছিল কলম। কিন্তু কলমের বিবর্তন আর ইতিহাস মানুষ ভুলতে বসেছে৷ কলম না থাকলে হয়তো মানব সভ্যতাই গড়ে উঠত না৷ টেকনোলজি যত এগোচ্ছে মানুষ তত কলমকে ভুলতে বসেছে। এখন মানুষ পেনের বদলে কি-বোর্ড আর টাচ স্ক্রিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আগামী প্রজন্মের কাছে কলমকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার ভারতবর্ষে ন্যাশনাল ফাউন্টেন পেন ডে পালিত হয়৷
সুবীরবাবু আরও জানান, তাঁর সংগ্রহে এক হাজারের বেশি কলম রয়েছে। ফাউন্টেনের সঙ্গে বল পেনও রয়েছে অনেক৷ চিত্রলিপি খোদাই করতে প্রথমে ব্যবহার করা হত পাথর। পাথর ব্যবহারের পর মানুষের হাতে প্রথম এসেছিল খাগের কলম৷ মিশরে এই কলমের প্রচলন হয়৷ পরবর্তী সময়ে আরও অনেক ধরনের কলম তৈরি হয়েছে৷ তাঁর কাছে জার্মানি, জাপান, চিন, আমেরিকা, বাংলাদেশ, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের কলম রয়েছে৷ প্রত্যেকে যদি নিজের পরিবারের লোকদের কলম উপহার দেন তবে কলমের বিবর্তনের ইতিহাস যেমন বেঁচে থাকবে। তেমনি খানিকটা হলেও কলমের ব্যবহার বাড়বে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments