রবীন্দ্রভবন সংস্কারে জোর
top of page

রবীন্দ্রভবন সংস্কারে জোর

শহরের একপাশে কার্যত পরিত্যক্ত বাড়ির মতো পড়ে রয়েছে কবিগুরুর নামাঙ্কিত রবীন্দ্রভবন। বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি ভবনটি ইংরেজবাজার শহরের প্রবেশ পথে পড়লেও অনাদরের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু কেন?


সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হোক বা সরকারি কোনও অনুষ্ঠান, এত বড়ো রবীন্দ্রভবনকে কি কাজে লাগানো যেত না? প্রশ্নগুলো ঘুরছে সকলের মনেই। পঙ্কজ মণ্ডল নামে বেসরকারি অফিসের এক কর্মী তো ঠাট্টার ছলে বললেন, নোবেলটাই যেখানে চুরি হয়ে যায়, সেখানে আর রবীন্দ্রভবন!



গ্রাম থেকে নানা কাজে শহরে আসতে হয় কঙ্কণ হাঁসদাকে। এক আত্মীয়কে নিয়ে গৌড়কন্যা বাসস্ট্যান্ড থেকে আসছিলেন। রবীন্দ্রভবনের দিকে তাকিয়ে মনটা ভার হয়ে গেল। কোর্ট মোড়ে টোটো থেকে নেমে সে কথা আর চেপে না রেখে বলেই ফেললেন, আগে তো শহরে একটাই অডিটোরিয়াম ছিল। তখন মালদা কলেজের এত অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ কোথায়! এখন সরকারি, বেসরকারি হাজারটা অডিটোরিয়াম হয়েছে। তাই শহরের এককোণে পড়ে থাকা রবীন্দ্রভবনে আর নজর নেই।




বছর কয়েক আগে রবীন্দ্রভবন সংস্কারে হাত দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিন কাজ হয়েই সব থমকে যায়। গনিখানের আমলে তাঁরই উদ্যোগে রবীন্দ্রভবন গড়ে উঠেছিল। ৫০০ আসনের এই ভবনটি সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু সে সবই আজ অতীত। তবে বর্তমান পুর প্রশাসন রবীন্দ্রভবন সংস্কারে নজর দিয়েছে, ইতিমধ্যেই এনিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি। দিন কয়েক আগে তিনি রবীন্দ্রভবন পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসকও।


রবীন্দ্রভবন নিয়ে আশাবাদী চেয়ারম্যান। আগামী এক বছরের মধ্যে রবীন্দ্রভবনকে সংস্কার করে আধুনিক রূপ দেওয়া হবে বলেও আশাবাদী ইংরেজবাজারের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিও। তাঁর কথায় আশাবাদী শহরবাসীও।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page