তালিকায় নাম নেই শ্রমিকের, চাল চুরির অভিযোগ সাংসদের
পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন চালের তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সহ পরিবারের সদস্যের। নাম রয়েছে এনআরইজিএসের সুপারভাইজারেরও। এমনই অভিযোগ তুলে তালা ঝুলিয়ে পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করল ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকরা। ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভের পরে প্রধানের আশ্বাসে ঘেরাও মুক্ত করেন শ্রমিকরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল-১ ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত মহানন্দাপুর গ্রামপঞ্চায়েতে।
ভিনরাজ্য ফেরত ধঞ্জনা গ্রামের শ্রমিক আনসার আলির অভিযোগ, আমরা ভিনরাজ্য কাজে গিয়েছিলাম। লকডাউনে কোনও মতে বাড়ি ফিরেছি। রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছেন ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকরা চাল পাবে। তবে এক মাস গড়িয়ে গেলেও চালের তালিকায় আমার নাম নেই। অথচ পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে-ভাইপো, ভাশুর সহ ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের নাম রয়েছে তালিকায়। তাঁরা ভিনরাজ্যে কাজে যাননি অথচ তাঁদের নাম তালিকায় এলো কীভাবে? একই অভিযোগ সম্প্রতি মুম্বাই থেকে ফেরা জগন্নাথপুরের গমর আলির।
[ আরও খবরঃ মহানন্দার উজান স্রোতে ভবানীপুরে অশনির ঘণ্টা বাজছে ]
এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল চৌধুরি বলেন, দফায় দফায় তালিকা আসছে পঞ্চায়েতে। সব শ্রমিকই চালের কুপন পাবে। তবে পঞ্চায়েত থেকে তালিকা নির্ধারিত হয় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পঞ্চায়েতে তালিকা পাঠায়। কেউ তালিকা নিয়ে অভিযোগ করলে বিডিওর কাছে সেই অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েতের দুর্নাম করতে তৃণমূলের এই প্রয়াস।
উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, চাল চুরির ঘটনা পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কংগ্রেস-তৃণমূল সবাই যুক্ত এই কাজে। আমাদের দলের থাকলেও এমন ঘটনা মানা যাবে না। চাল চুরির ঘটনা রোধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।