বেহুলার জলে মৌলপুর হাসপাতালে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিই জলমগ্ন
গতকাল রাতে পুরাতন মালদার মৌলপুর হাসপাতালে বন্যার জল ঢুকে পড়ে৷ রাতেই ভর্তি থাকা রোগীদের হাসপাতালের দোতলায় স্থানান্তরিত করা হয়৷ মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ২৩ জন রোগী। বেশিরভাগই প্রসূতি।

বিএমওএইচ সৌভিক দাস বলেন, গতকাল দুপুর থেকেই বন্যার জল হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে শুরু করে৷ রাত ১টা নাগাদ জলস্তর বেড়ে যায়৷ জল ঢুকে পড়ে হাসপাতালের নীচের তলায় থাকা দুটি ওয়ার্ডও৷ রাতেই তাঁরা রোগীদের উপরতলায় স্থানান্তর করতে শুরু করেন৷ যেসব রোগী খানিকটা ভালো ছিলেন অথবা যাঁরা রোগীদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত ছিলেন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ যেসব রোগীর পরিস্থিতি একটু জটিল, তাঁদের মালদা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত তাঁরা প্রসব সহ সাধারণ চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে জলস্তর আরও বেড়ে গেলে তাঁদের আর কিছু করার থাকবে না৷ তিনি গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের জানিয়েছেন৷ জানিয়েছেন পুরাতন মালদার বিডিওকেও৷

পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, এই মুহূর্তে বাঁধভাঙা মহানন্দা আর বেহুলা মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে৷ বেহুলার জল পিছনদিক থেকে মৌলপুর হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে৷ বর্তমানে পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিই জলমগ্ন৷ তাঁরা দুর্গত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ দুর্গতরা যাতে ত্রাণ পান, সেদিকেও লক্ষ্য রেখেছেন তাঁরা৷ তবে মহানন্দার জল আরও বাড়ছে৷ এভাবে নদীর জল বাড়লে আগামীতে কী হবে তা নিয়ে তাঁরাও চিন্তায় রয়েছেন৷