নামমাত্র মজুরি, তবু ধান আবাদে ব্যস্ত করোনায় বেকার শ্রমিক
কডাউনে কাজ না পেয়ে, জমিতে ধানের বীজতলা রোপণের কাজে লেগে পড়ছেন শ্রমিকরা। কাজের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা বেশি থাকায় কম টাকাতেই মিলছে শ্রম। এতে কৃষকরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাড়িতে বেকার হয়ে বসে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা।
গত মার্চে ভারত জুড়ে আচমকা লকডাউনে কার্যত থমকে গিয়েছিল অর্থনীতির চাকা। দেশের নামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) রিপোর্টে জানা যায়, গত এপ্রিলে ১২ কোটি ২০ লক্ষ ভারতবাসীর রুটিরুজি রাতারাতি বন্ধ হয়ে যায়। জুলাই মাসে এসে সেই পরিসংখ্যান খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। ১৭ জুলাই তারিখে দেশের বেকারত্বের হার ৮.৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় এখনও বেশি। এই লকডাউনে কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরে এসেছেন বহু শ্রমিক। শুধুমাত্র চাঁচল থানার অন্তর্গত এলাকাতেই সেই সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে। জেলায় ফিরে কাজ জোগাড় করতে না পেরে শেষমেশ ধানের বীজতলা রোপণের কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। এদিকে জমিতে শ্রমিকের অভাব না থাকায় কমেছে মজুরি।
ভিনরাজ্য ফেরত খাদেমুল হক, জিয়াউল আলি, তারিকুল শেখ জানান, বিগত মরসুমে বিঘা প্রতি দেড় হাজার টাকা ঠিকা ছিল ধান রোপণের কাজে। লকডাউনে এই রোপণের কাজ করতে শ্রমিক সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তাই একলাফে অর্ধেক, এই কাজের ঠিকা ৭৫০ টাকা বিঘা প্রতি হয়েছে এখন। লকডাউনে অন্য কাজ না মেলায় বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হচ্ছে। তবে এই ধান রোপণের কাজ বেশিদিন চলবে না। তারপর রোজগারের উপায় কী হবে তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন পরিযায়ীরা।
[ আরও খবরঃ রাজ্যে দ্বিতীয় তামান্না, নজরকাড়া ফল মাদ্রাসা পরীক্ষাতেও ]
এক কৃষক হাফিজুদ্দিন আহমেদ জানান, ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরে বীজতলা রোপণের কাজ করছে। ফলে এবার কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে। ধান চাষে লাভবান হওয়া যাবে। মতিহারপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পপি দাস জানান, পঞ্চায়েত এলাকায় এনআরজিএস প্রকল্পের কাজ বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়াও এখন পঞ্চায়েত এলাকায় হার্টিকালচারে ১০০ দিনের কাজ শুরু হয়েছে। জবকার্ডধারী শ্রমিকরা যোগাযোগ করলেই কাজে নেওয়া হবে।
টপিকঃ #MigrantWorker, #CoronaVirus, #Lockdown