ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত আটটি বাড়ি

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে পুড়ে ছাই হল আটটি বাড়ি। আগুনের বীভৎসতা এতটাই তীব্র ছিল যে পরিধানের কাপড়টুকু ও নিজ প্রাণ ছাড়া আর কিছুই আগুনের করাল গ্রাস থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলেও বাড়িতে থাকা সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক থানার মথুরাপুর অঞ্চলের ধরমুটোলা এলাকায় ।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, চার ভাই ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, শ্যামাপদ মণ্ডল, রতন মণ্ডল ও রতন মণ্ডল নিজেদের পৈতৃক ভিটায় সপরিবারে বসবাস করেন। বর্তমানে তারা ভিনরাজ্যে কর্মরত। বাড়িতে চার ভায়ের স্ত্রী ও সন্তানেরা বাস করে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে বাড়ির একটি ঘর থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন পাশাপাশি আটটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির সমস্ত সদস্যকে উদ্ধার করা সক্ষম হলেও বাড়ির সমস্ত কিছু পুড়ে যায়। খবর যায় মানিকচক থানায় ও দমকল বিভাগে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার দরুন দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলের কাছে একটি পুকুর থেকে পাম্প মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। রান্নাঘর থেকেই এই আগুন লাগে বলে অনুমান স্থানীয়রা বাসিন্দা ও দমকল কর্মীদের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িগুলিতে মজুত প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা সহ গৃহ কর্তাদের পাঠানো পরিমাণ নগদ টাকা, খাদ্যশস্য, আসবাবপত্র, সোনা গয়না, জরুরি নথিপত্র সমস্তই পুড়ে ছাই হয়েছে। শুধু বেঁচেছে প্রাণগুলি। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত এক বাড়ির ছেলে সকলদীপ মণ্ডল জানান, তিনি এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়া সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিন সহ সমস্ত নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। তাই কি করে আগামী দিনে পড়াশোনা করবেন তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় দমকল কর্মীরা প্রায় কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে জানাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। ক্ষতির পরিমাণ ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বলে জানাচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত পরিবারের সদস্যরা। এদিনের অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে এখন সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে এই পরিবারগুলি।
ছবিটি প্রতীকী।