ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ সাংসদের
top of page

ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ সাংসদের

ভাঙন রোধে রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে ক্ষোভ উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। সেচ দফতর সারা বছর ঘুমিয়ে থাকে, আর ভাঙন শুরু হলেই লোক দেখানো কাজ শুরু করে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করা হবে। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মন্তব্য উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর।


উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ফুলহরের ভাঙনে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কাউয়াডোল, রশিদপুর, উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মিরপাড়া, তাঁতিপাড়া গ্রামগুলি৷ ইতিমধ্যে বহু মানুষ ঘর ছাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। কয়েকদিন আগেই পরিদর্শনে গিয়ে ওই এলাকাগুলির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী তজমূল হোসেন। মন্ত্রীর এলাকার পরিদর্শনের পর দুর্গতদের সরিয়ে অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করে প্রশাসন।



আজ ওই এলাকা পরিদর্শনে যান উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। সাংসদকে কাছে পেয়ে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতি বস্তায় কম কম মাটি ভরে ফেলা হচ্ছে। এভাবে কাজ করে নদীর আগ্রাসন আটকানো সম্ভব নয়। বেশ কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে ইলেকট্রিক পোল ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সরকার ভাঙন রোধের কাজের জন্য টাকা দিচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খগেন মুর্মু বলেন,

ফুলহরের তাণ্ডবে এই এলাকার মানুষ ঘুমোতে পারছেন না৷ গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই৷ আপাতত একটি জেনারেটর দিয়ে ২-৩ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাঙন রোধের কাজ শুরু হলেও কাজ খুব নিম্নমানের হচ্ছে৷ শুধুমাত্র লোক দেখানো কাজ করা হচ্ছে। সারা বছর সেচ দফতর কোনও কাজ করে না। ভাঙন শুরু হলে দফতরের ঘুম ভাঙে। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মালদার মানুষ হয়েও মালদার সমস্যার জন্য এগিয়ে আসছেন না। ফোন ধরছেন না৷ কেন্দ্র থেকে বারবার রাজ্যকে বলা হয়েছে, ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক৷ রাজ্য থেকে কেন্দ্রকে প্রস্তাব দেওয়া হোক৷ ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নেবে৷ কিন্তু রাজ্য এখনও সেই প্রস্তাব পাঠায়নি৷ শুধু ভোটের সময় এরা বড় বড় কথা বলে৷ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করব।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page