জন্মান্ধ একই পরিবারের ৫, পাশে দাঁড়ালেন জেলাশাসক
জন্ম থেকেই অন্ধকারে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। চোখে দেখতে না পাওয়ায় উপার্জনের একমাত্র রাস্তা ভিক্ষাবৃত্তি। সম্প্রতি রতুয়া-২ ব্লকের এই পরিবারের কথা জানতে পারেন জেলাশাসক। আজ ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত সরকারি পরিসেবার ব্যবস্থা করেন তিনি। পাশাপাশি নিজে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ওই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থাও করেন তিনি।
রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের সম্বলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা বাবলু হক৷ তিনি এবং তাঁর বোন ইসমাতারা খাতুন জন্মান্ধ। বাবলু সাহেবের তিন ছেলেমেয়েও জন্মান্ধ। পরিবারে শুধুমাত্র বাবলু সাহেবের স্ত্রী শেফালি বিবি চোখে দেখতে পান। তাঁর ভরসাতেই চলে সংসার। সম্প্রতি রতুয়া-২ ব্লকের বেশ কিছু বাড়িতে সরকারি সুবিধে না পাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া। আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরি, বিডিও নিশীথকুমার মাহাতো, জেলাপরিষদের সদস্য সেতারা খাতুন, পুখুরিয়া ফাঁড়ির ওসি গৌতম চৌধুরির সঙ্গে ওই এলাকায় যান তিনি। দেখা করেন হক পরিবারের সঙ্গেও।
বাবলু হক জানান,
জন্ম থেকেই চোখে দেখতে পাই না৷ পরিবারের পাঁচজনই অন্ধ৷ অন্ধ হওয়ায় বোনের বিয়ে হয়নি৷ দেখতে না পাওয়ায় কেউ কাজকর্মও করতে পারি না৷ ভিক্ষাবৃত্তি করেই পেট ভরাতে হয়৷ পরিবারের দুজন এখনও সরকারি সুবিধে পান না। সমস্ত বিষয় আজ জেলাশাসককে জানিয়েছি।
জেলাশাসক নিতীন সিংঘানিয়া জানান, আজ এই গ্রামে দুয়ারে সরকারের মোবাইল ক্যাম্প করা হয়েছে। এই গ্রামের একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যই অন্ধ। তাঁদের সমস্ত সরকারি পরিসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে৷ ওই পরিবারের দু’জনের মানবিক ভাতা ছিল না, আজই তাঁদের সেটা চালু হয়ে যাবে৷ চোখের আলো প্রকল্পে প্রত্যেকের সরকারিভাবে চোখের পরীক্ষা ও চিকিৎসা করানো হবে৷ বিল না মেটানোয় বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও দীর্ঘদিন আগে কেটে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী বিলের অর্ধেক বকেয়া অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শীঘ্রই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগও হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments