গরহাজিরের অভিযোগে ফের পঞ্চায়েতে তালা, আলোচনায় বসছেন বিডিও
পঞ্চায়েত প্রধান সহ কর্মীদের অনুপস্থিতি ও খামখেয়ালিপনায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ। জরুরি কাজে পঞ্চায়েত অফিসে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে আমজনতাকে। এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাল চাঁচলের বাসিন্দারা। যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচল ১ ব্লকের মতিহারপুর গ্রামপঞ্চায়েতে।
তৃণমূল পরিচালিত মতিহারপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পদে রয়েছেন পপি দাস। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রধান সাহেবা পঞ্চায়েতে নিয়মমাফিক আসেন না। প্রধানের গরহাজিরের কারণে পঞ্চায়েতের এসে প্রায়শই ঘুরে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। এর আগেই একই অভিযোগে পঞ্চায়েতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।
[ আগের খবরঃ রেশন কার্ডের কুপন নিয়ে বিক্ষোভ, দুই পঞ্চায়েতে ঝুলল তালা ]
লকডাউনের ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের কুপন, আবাস যোজনার নথিপত্র জমা দেওয়ার হিড়িক প্রতিটি পঞ্চায়েতেই। এমতাবস্থায় এদিন সকাল থেকে শতাধিক মানুষ ভিড় জমান পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত খোলা থাকলেও দেখা নেই কর্মী ও প্রধানের। প্রতিনিয়ত এই ঘটনা ঘটতে থাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপভোক্তারা। আজ ফের প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের দফতরে না পেয়ে গ্রামবাসীরা তালা ঝুলিয়ে দেন পঞ্চায়েতের গেটে। প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে বিক্ষোভ কর্মসূচি। পরে পঞ্চায়েতের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলে তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে পঞ্চায়েত প্রধান পপি দাস বলেন, আমি পঞ্চায়েতে সঠিক সময়ে আসি। তবে কর্মীদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিডিও সাহেব এদিন বিকেলে জরুরি মিটিং ডেকেছেন। এসব রাজনৈতিক চক্রান্ত। এলাকার সিপিআইএম ও কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষকে উসকে পঞ্চায়েতে তালা লাগাচ্ছেন।
চাঁচল বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না বলেই তালা ঝুলিয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলির আওতায় থেকেও ঘুরতে হচ্ছে উপভোক্তাদের। স্বভাবতই মানুষ ক্ষুব্ধ হবেই। এখানে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কিছু নেই।
চাঁচল ১ ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, মতিহারপুর গ্রামপঞ্চায়েতে কর্মীদের কি সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে প্রধান সহ কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করা হবে।
টপিকঃ #গ্রামপঞ্চায়েত