কৃষ্ণকালীতলার মধুবনে মহিষাসুরমর্দিনী
শুভ শক্তির উদয় ও অশুভ শক্তির নাশ করতে বার বার বিভিন্ন রূপে আবির্ভূত হয়েছেন দেবী মহামায়া। এবারে দেবী দুর্গতিনাশিনীর চেনা পরিচিত গল্পকে দর্শকদের নতুন স্বাদে উপহার দিতে প্রস্তুত কৃষ্ণকালীতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও গ্রন্থাগার। এবারের পুজোয় তাদের থিম ‘মধুবনে মৌচাক’।
মহিষাসুর-নির্ণাশি ভক্তানং সুখদে নমঃ। রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দিষো জয়ী।।
অর্থ্যাৎ, যিনি মহিষাসুরকে বধ করে ভক্তগণদের সুখদান করেছিলেন, তাঁকে প্রণাম জানাই। মালদা কৃষ্ণকালীতলা ক্লাব ও গ্রন্থাগার এই বিষয়বস্তুকে মাথায় রেখে নিজেদের থিম ঠিক করেছেন। এখানে মহাদেবকে তুলে ধরা হয়েছে একটি প্রকাণ্ড বটগাছের রূপক হিসেবে।যেখানে সেই গাছকেই কেন্দ্র করে বাসা বেঁধেছে মা দুর্গা ও তার পরিবার। মা দুর্গা সহ লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ ও সরস্বতীকে মৌচাকের রূপক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মৌচাকে বসবাসকারী মৌমাছিরা নিধন করছে অসুরদের। থিমটির সাথে প্রতিমাকে তুলে ধরতে অপরূপ হাতের কাজের পরিচয় দিয়েছেন মৃৎশিল্পী দিব্যেন্দু সাহা।
আনুমানিক আট লক্ষ টাকা বাজেটে দর্শকদের ভালো পুজো উপহার দিতে প্রস্তুত মালদা কৃষ্ণকালীতলা ক্লাব ও গ্রন্থাগার এর উদ্যোক্তারা।
