মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করে নিখোঁজ বাবা
মদ্যপ অবস্থায় ভাইয়ের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছিল নন্দাই ও দেওর। সেই কথা ওই বধূ তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছিল। প্রতিবাদ করেছিল বধূটির বাবা। আর সেই অপরাধে বাবাকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধূর নন্দাই, দেওর সহ শাশুড়ির বিরুদ্ধে। প্রায় ১০ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত বাবার কোন খবর না মেলায় বধূটি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে।
গৃহবধূর অভিযোগ, গত ১৮ জুলাই তাঁর ভাসুরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে তিনি যখন রাত ৩ টার সময় নিজ ঘরে ঘুমাতে যান সেই সময় তাঁর নন্দাই কৃষ্ণ প্রামাণিক ও দেওর কিশোর বারিক মদ্যপ অবস্থায় তাঁর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি করে। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি তিনি শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জানালে তারা ঘটনাটি চেপে রাখতে বলেন। বাধ্য হয়ে তিনি ঘটনাটি ফোন মারফৎ তাঁর বাবা জগদীশ প্রামাণিককে জানান। পরের দিন তাঁর বাবা শ্বশুরবাড়িতে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে এই ঘটনার জন্য মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দেন। তাঁর বাবা সাফ জানিয়ে দেন তিনি এই অন্যায় সহ্য করবেন না, আইনের দ্বারস্থ হবেন। পরের দিন নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তাঁর বাবা। কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফেরেন নি। অনেক খোঁজ করার পরেও বাবার হদিশ না মেলায় তাঁরা গত ২২ তারিখ কালিয়াচক থানায় মিসিং ডায়ারি করেন। দিন দশেক হয়ে গেলেও বাবার কোনো খোঁজ পাননি তাঁরা। বাধ্য হয়েই তাঁরা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গৃহবধূর আইনজীবী আব্দুল আলিম জানান, অভিযুক্তরা তাঁর মক্কেলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছে না। ফলে অনুমান করা যাচ্ছে জগদীশবাবুকে হয়ত খুন করেছে। তাই তাঁরা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযুক্ত কিশোর বারিক, কৃষ্ণ প্রামাণিক ও বিমালা বারিকের নামে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।