প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা
প্রতিবেশীর প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে গিয়ে তাঁর স্বামী ও তার পরিবারের মারে গুরুতর আহত হলেন এক মহিলা। আহত ওই মহিলা বর্তমানে মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। গতকাল দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার কৃষ্ণপুরে। এই ঘটনায় আপাতত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত ওই মহিলার নাম রঞ্জনা দাস (৩১)। জানা গিয়েছে, বিয়ের ৫-৬ বছর পর থেকেই স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতে থাকে নুপূর দেবনাথ। কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে মেরে বাপের বাড়িও পাঠিয়ে দেয়। নুপূর স্ত্রীর অবর্তমানে আরেক মহিলাকে বিয়ে করে আনেন। ঘটনাটি জানতে পেরেই নুপূরের প্রথম স্ত্রী শরণাপন্ন হয় স্থানীয়দের। স্থানীয় মহিলারা ওই মহিলার প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নুপূরকে বলতে গেলে। রঞ্জনাদেবীর মাথায় কাঠের পিড়ি দিয়ে আঘাত করে নুপূর সহ পরিবারের লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রাতে তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেন।
প্রতিবেশী জ্যোর্তিময় চক্রবর্তী জানান, নুপূর তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি তাড়িয়ে দেয় এবং অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে। গতকাল নুপূর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এলে এলাকার মহিলা সমিতির লোকজন নুপূরকে বোঝাতে যান। সেই সময় নুপূর ও তার পরিবারের লোকজন মহিলাদের ওপর হামলা চালায়। সেই সময় কাঠের পিড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হন রঞ্জনাদেবী। এই ঘটনায় মহিলার সমিতির পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গাজোল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে গতকালই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন জেলা আদালতে পেশ করা হবে।