অধিগৃহীত জমির ন্যায্য মূল্য না পেয়ে বিক্ষোভে কৃষকেরা
জমির ন্যায্য মূল্য না পেয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন কৃষকরা। শনিবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কৃষকরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের সময় জমির মূল্য তিন লক্ষ টাকা বলা হলেও পরে তা ৩৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ সাল থেকে সামসি জিয়াগাছি থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক বাইপাসের নতুন রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে ওই এলাকার মধ্যে থাকা এক হাজার একশো কৃষকের জমি অধিগ্রহণ শুরু করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের সময় জমির মূল্য তিন লক্ষ টাকা বলা হলেও পরে তা ৩৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জমি অধিগ্রহণের সময় কৃষকদের জানানো হয়েছিল, জাতীয় সড়কের ধারে থাকা জমির উপর রাস্তা তৈরির কোনো প্রভাব পড়বে না। অথচ রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে জমির ফসল নষ্ট করছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়াররা। ঘটনার প্রতিবাদ করলেই কৃষকদের উপর মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা।
সামসুল হক নামে এক কৃষক বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কৃষকদের সরকারি মূল্য তো দূরের কথা জমি অধিগ্রহণের ন্যায্যমূল্য টুকু দিচ্ছে না। যেখানে জমির দাম বর্তমান বাজারে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা সেখানে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার পাশে থাকা জমির ফসল নষ্ট করছে ইঞ্জিনিয়াররা। প্রতিবাদ করলেই থানায় মিথ্যে মামলায় অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও, কিন্তু কোনো ফল মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে আজ হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তাঁরা।
এবিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Komentar