চাকরির মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবক-যুবতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন এক প্রতারিত যুবক। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
১০০ শতাংশ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। শুধুমাত্র যাঁরা বন্ধন মাইক্রো ফাইনান্সের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের পরিবারের ছেলেমেয়েদেরই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মালদা শহরের সুকান্ত মোড়ে বন্ধন স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নামে এক সংস্থা নিজেদের অফিস খোলে৷ সেখানে প্রশিক্ষণ নিলে ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। শুধুমাত্র যাঁরা বন্ধন মাইক্রো ফাইনান্সের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের পরিবারের ছেলেমেয়েদেরই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে৷ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা পেয়ে প্রচুর যুবক-যুবতি সেখানে প্রশিক্ষণ নেন৷ প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকজনকে ভিন রাজ্যে কাজে নিয়োগও করা হয়৷ কিন্তু দেখা যায়, যে মাইনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, মাইনে মিলছে তার থেকে অনেক কম৷ ওই সংস্থার শংসাপত্র নিয়ে চাকরি চাইতে গেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ এরপরেই গতকাল এই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোরঞ্জন ঋষি নামে এক প্রতারিত যুবক৷
তিনি বলেন, ৪,২০০ টাকা কোর্স ফি দিয়ে ওই সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম৷ প্রশিক্ষণ শেষে শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছিল৷ প্রশিক্ষণ শুরুর আগে জানানো হয়েছিল অন্তত মাসিক ১০ হাজার টাকার বেতনের চাকরির ব্যবস্থা হবে৷ প্রশিক্ষণের পরে মাসিক ৭ হাজার টাকার অফারে তামিলনাড়ুর এক সংস্থায় কাজ দেওয়া হয়। সেখানে গেলে জানা যায়, মাসিক বেতন মাত্র তিন হাজার টাকা৷ সেই বেতনের মধ্যে থেকে খাবারের টাকাও কেটে নেওয়া হয়েছে৷ প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি বন্ধন স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কর্তৃপক্ষ৷ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷
প্রতীকী ছবি।
Comments