জেলার সাংবাদিকদের জন্য স্থায়ী প্রেস কর্নার
তাঁদের জন্য নেই কোনো বসার জায়গা জেলাশাসকের দপ্তরে। সংলগ্ন পুলিশ সুপারের দপ্তরে আগে একটি প্রেস কর্নার ছিল। কিন্তু উপরমহলের নির্দেশে বিগত কয়েক বছর আগে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। অগত্যা পেশার কাজে তাঁদের প্রত্যেকদিন মালদা জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করে থাকতে হয়। সেখানে নেই কোনো আচ্ছাদন। বৃষ্টির বারিধারা থেকে মাথা বাঁচাতে একমাত্র সম্বল জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে থাকা গুটিকয়েক চায়ের ও শুকনো খাবারের দোকানের ত্রিপলের আচ্ছাদন। আর এভাবেই দিনের পর দিন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকের খবর সংগ্রহ করেন জেলার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ। দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসনের কাছে জেলার সাংবাদিকেরা আবেদন করে আসছিলেন তাঁদের বসার জন্য জেলাশাসকের দপ্তরের সংলগ্ন কোনো একটি স্থানে তাঁদের জন্য যেন বসার ঘরের ব্যবস্থা করা হয়।
বিগত ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মালদা সফর চলাকালীন প্রশাসনিক বৈঠকে মালদা জেলার সাংবাদিকগণ তাঁর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মালদায় সরকারিভাবে একটি জায়গা সাংবাদিকদের জন্য দেওয়া হোক। এর সমর্থনে তৎকালীন জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদিকে স্মারকলিপি প্রদান করেছিল জেলার সাংবাদিকগণ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী পুনরায় মালদায় এসেছিলেন এবং প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি আশ্বাস দেন খুব তাড়াতাড়ি জেলার সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রেস কর্নার করে দেওয়া হবে।
তারপর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস কর্নার-এর জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা খোঁজা শুরু হয়েছিল। বুধবার জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য এবং ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ সরজমিনে জেলার সাংবাদিকদের জন্য প্রেস কর্নার করার জায়গা নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসন ভবনের সম্মুখে। এর জন্য জেলা কালেক্টরেট এমপ্লয়িজ রিক্রিয়েশন ক্লাবের দোতলাটিকে চিহ্নিত করা হয়। জেলাশাসক জেলা ভূমি দপ্তরকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেন এর আইনি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে। চিহ্নিত স্থানটিতে খুব তাড়াতাড়ি প্রেস কর্নার গড়ে উঠবে বলে আশ্বাস দেন জেলাশাসক ও বিধায়ক।
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক