হাতে-পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় যুবতী
দুপুর সাড়ে বারোটা। মালদা জেলা আদালত চত্বরে এক যুবতীকে শিকল বাঁধা অবস্থায় হাঁটতে দেখে রীতিমতো হতবাক মানুষজন। সুচিকিৎসার জন্য শিকল বাঁধা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধা মা।
মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতির নাম প্রিয়া বিশ্বাস। বাড়ি মালদা থানার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনবাগান এলাকায়। কয়েক বছর বাবার মৃত্যু হয়। মা কনেকা বিশ্বাস লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়তে পড়তে প্রিয়া মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বিগত পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা করা সত্ত্বেও স্বাভাবিক হয়নি প্রিয়া। ক্রমাগত তার অবনতি হতে থাকে। কনেকাদেবীর পক্ষে পরিচারিকার কাজ করে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয়। স্থানীয় বিধায়ক সহ বাসিন্দাদের উদ্যোগে এদিন কনেকাদেবী মেয়েকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
চোখে জল নিয়ে কনেকাদেবী জানান, মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য অনুমতি নিতে আদালতে এসেছেন তাঁরা। সেখান থেকে অনুমতি পেলে চিকিৎসার জন্য বহরমপুরে নিয়ে যাবেন মেয়েকে। তিনি আরো জানান, কোথাও হারিয়ে যেতে পারে, কাউকে আঘাত করতে পারে এই ভয়ে মেয়েকে সর্বক্ষণ শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়।
প্রতিবেশী জগৎপতি রায় জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে প্রিয়া। সুচিকিৎসার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে যাওয়া হবে বহরমপুরে। সরকারি সাহায্য পেলে তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন বলেও জানান তিনি।
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক