রেলের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রস্তুতি দেখল স্থানীয় বাসিন্দারা
সকাল ৯টা। প্রতিদিনের মত জীবন যাত্রায় ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। হঠাৎ মালদা টাউন স্টেশন সংলগ্ন ডিজেল শেডে রেলের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জোরকদমে প্রস্ততি নজরে আসে সকলের। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক কর্মীদের মেডিকেল কিট, স্ট্রেচার নিয়ে ছুটোছুটি দেখে পথচলতি মানুষ চমকে ওঠে। ততক্ষণে সকলে অনুমান করে নিয়েছে আবার কোনো বড়সড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। উৎসুক মানুষজন রেল লাইনের ধারে যেতেই নজরে আসে রেল লাইনে থাকা একটি কামরার উপর আর একটি কামরা উঠে গিয়েছে। আর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কাজে সেদিকেই ছুটে চলেছে। নিমেষের মধ্যে এলাকায় ভিড় জমে যায়। কিছু সময় পরে সকলের সামনে চিত্রটা পরিস্কার হয়ে ওঠে। আসলে এটি রেল দুর্ঘটনা নয় দুর্ঘটনা মোকাবিলার মহড়া।
জানা গেছে, রেলের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও রেল কর্মীরা বিপর্যয় মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত তা পরীক্ষা করতেই এদিন ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। এদিনের মহড়ার উপস্থিত ছিলেন মালদা ডিভিশনের ডিআরএম তনু চন্দ্রা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। প্রায় পাঁচ ঘন্টা ধরে মালদা টাউন স্টেশনের ডিজেল সেডে চলে এই বিপর্যয় মোকাবিলা মহড়া।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডিআরএম জানান, দুর্ঘটনা মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রেল কর্মীরা কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখতেই এই মহড়া। মেডিকেল টিম ও রিলিফ টিম কতখানি প্রস্তুত তাও দেখা হয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে এধরণের মহড়া মাঝেমধ্যেই আয়োজন হয়ে থাকে। এদিনের মহড়ায় ৩০০ জন রেল কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে বারংবার পড়তে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। এদিনের মহড়া কি তারই প্রতিফলন? তবে এদিনের মহড়ায় বিস্মিত সাধারণ মানুষ।