পুলিশ দুষ্কৃতী আঁতাতের অভিযোগে জাতীয় সড়ক অবরোধ
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদা-মহদিপুর রুটের সুস্থানি মোড় এলাকা। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই এলাকা। এদিন সকালে দুষ্কৃতী-পুলিশের অশুভ আঁতাতের অভিযোগ তুলে সুস্থানি মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন লরিচালক ও খালাসিরা। খবর পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধমুক্ত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসা শুরু হয়। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেধড়ক লাঠি চার্জ করে পুলিশ। সেই সময় পুলিশ নাকি শূন্যে গুলিও চালায়।
সম্প্রতি তোলা আদায়ের জন্য কুখ্যাত হয়ে পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহদিপুর। পণ্যবাহী লরিগুলি থেকে দাবি মতো তোলা না পেলেই দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন চালকরা। এনিয়ে একাধিকবার লরিচালক ও খালাসিরা ইংরেজবাজার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এর আগে তোলা না পেয়ে সীমান্ত দুষ্কৃতীরা পাঞ্জাবের এক লরিচালককে খুন করে। দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হয়েছেন একাধিক লরিচালক। সম্প্রতি দুই দফায় ওই দুষ্কৃতীরা মহদিপুর সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও সমস্যার সমাধান হয়নি।
এদিন ভোরে দাবি অনুযায়ী তোলা না দিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন বিক্রম মণ্ডল নামে এক লরিচালক। তাঁকে মারধর করার সাথে কেড়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা ৩২০০ টাকা। ফের এক লরিচালকের আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপরেই পুলিশ-দুষ্কৃতী আঁতাতের অভিযোগ এনে সুস্থানি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন লরিচালক ও খালাসিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয় অবরোধকারীদের। অভিযোগ, হঠাৎ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে অবরোধকারীরা। এরপরেই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। শূন্যে ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের কথা স্বীকার করা হলেও গুলিচালনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম জানান, যতদিন না মহদিপুরে সরকারি পার্কিং প্লেস হচ্ছে, ততদিন এমন ঘটনা চলতেই থাকবে। এর আগেও দুষ্কৃতীরা একাধিকবার লরিচালকদের উপর হামলা চালিয়েছে। এদিনও এক লরিচালকের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তারই প্রতিবাদে লরিচালকরা সুস্থানি মোড়ে অবরোধ করলে পুলিশ আইনশৃঙখলা রক্ষার নামে সেখানে লাঠি চালায়। গুলিও চালানো হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তিনি। ইংরেজবাজার থানার আইসির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন। তবে এই মুহূর্তে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক