অবৈধভাবে গাছ কেটে সাবাড়
অনুমতি ছাড়াই মালদা শহরের এবিএ গণি খান চৌধুরি রেল হাসপাতাল চত্বর থেকে কেটে ফেলা হল একাধিক দামি গাছ। বন দপ্তরও জানিয়ে দিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরের গাছ কেটে নেওয়ার জন্য তাদের কাছে থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলকর্তারা এনিয়ে কোনও সদুত্তরও দিতে পারেননি। হাসপাতাল চত্বর থেকে সবুজ ধ্বংস করার দায়ে রেলকর্তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করার হুমকি দিয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মালদা স্টেশনের সামনে রেলওয়ে হাসপাতাল নির্মাণ করেন এবিএ গনি খান চৌধুরি। এই হাসপাতাল চত্বরে তিনি নিজের হাতে শাল, সেগুন ও দেবদারু গাছ লাগিয়েছিলেন। বড়ো হয়ে ওঠা এই সব গাছের জন্য সৌন্দর্য্য বেড়েছিল রেল হাসপাতালেরও। কিন্তু রেলকর্তাদের নির্দেশে এই হাসপাতাল চত্বরের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী রেল কমিটিতে এবিষয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ উঠেছে, এই গাছ কাটার জন্য কোনো টেন্ডারও করা হয়নি। জানানো হয়নি জেলা বন দপ্তরকে। পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান, মালদা শহরকে যখন গ্রিন সিটির আওতায় আনার কাজ চলছে, তখন রেলকর্তাদের এই কাজ মানা যায় না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সবুজ ধ্বংস করার অপরাধে রেলকর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে। রেল ইউজার্স কমিটির সদস্য তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরোধী দলনেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির অভিযোগ, রেলকর্তাদের এহেন তুঘলকি কান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন তিনি। মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডলও রেলকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার হুমকি দিয়েছেন।
গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ রেলকর্তাদের। এক রেলকর্তা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, গাছ কাটার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। শুধুমাত্র হাসপাতাল সুপারের মৌখিক নির্দেশে এমন কাজ হয়েছে।
এদিকে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বর থেকে কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে ফেলা হলেও কাঠের কোনো হদিস নেই। অভিযোগ, কেটে ফেলা গাছ বিক্রির টাকা কর্মীদের সঙ্গে রেলকর্তাদের পকেটেও ঢুকেছে। যদিও এনিয়ে মুখে কুলুপ রেলকর্তাদের।